মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, বান্দরবান :
আবাসিক প্রকৌশলী কার্যালয় “বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড” বান্দরবানের লামা অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বিরুদ্ধে কোন প্রকার মিটার ব্যবহার না করে বিদ্যুৎ চুরি করার অভিযোগ উঠেছে। লামা বিদ্যুৎ অফিসের সরকারী কোয়াটারে বসবাসরত আবাসিক প্রকৌশলী মোঃ অলিউল ইসলাম ও হিসাব রক্ষক আবুল কালাম আজাদ সহ অন্যান্য স্টাফদের ৭টি পরিবারের কারো ঘরে নেই বিদ্যুৎ এর মিটার।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যুৎ অফিসের সকল স্টাফদের ঘরে ব্যবহার হচ্ছে বিদ্যুৎ। সকলের ঘরে ২২০ ভোল্টের লাইন থেকে বিদ্যুৎ নামানো হয়েছে। প্রত্যেকের ঘরে পানির মোটর, ফ্রিজ, ২/৩টি করে বৈদ্যুতিক হিটার, আইরন মেশিন, রাইস কুকার, ইলেকট্রিক চুলা সহ অসংখ্য ফ্যান ও কারেন্টের বাল্ব চলছে। এই সময় তাদের ব্যবহৃত বিদ্যুৎ এর মিটারটি কোথায় এমন প্রশ্ন করলে কেউ তাদের মিটার দেখাতে পারেনি। জনৈক এক কর্মচারীর স্ত্রী জানায়, তার স্বামী ১৯৯৭ সাল থেকে এখাসে চাকুরী করে, সে কখনও মিটার দেখেনি। লামা বিদ্যুৎ অফিসের লাইনম্যান (এ) মোঃ সাহাবুদ্দিন কে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, আমাদের মিটার নেই।
বিদ্যুৎ অফিসের হিসাব রক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমাদের সকলের কোয়াটারের বিদ্যুৎ এর লাইন “আবাসিক প্রকৌশলী লামা বিদ্যুৎ” এর মিটার থেকে ব্যবহার হয়। এক প্রশ্নের জবাবে লামা বিদ্যুৎ এর আবাসিক প্রকৌশলী মোঃ অলিউল ইসলাম বলেন, সরকারী মিটার থেকে কোয়াটারের স্টাফদের ঘরে বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ নেই। কারণ এই মিটারের বিল বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড প্রদান করে। আমি সদ্য লামায় যোগদান করেছি, কোয়াটারে মিটার বিহীন বিদ্যুৎ ব্যবহারের বিষয়টি আমি জানতাম না।
এই বিষয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শামশুল আলম বলেন, কারোই মিটার বিহীন বিদ্যুৎ ব্যবহার করার সুযোগ নেই। তাছাড়া বিদ্যুৎ অফিসের কোয়াটারে বসবাসকারী স্টাফরা “আবাসিক প্রকৌশলী লামা বিদ্যুৎ” এর মিটার থেকে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে থাকলে সেটা চরম অপরাধ। তারা সেটা করতে পারেনা। বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
You must be logged in to post a comment.