মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা :
পার্বত্য জেলা বান্দরবানের আলীকদম-লামা-চকরিয়া সড়ক দিয়ে গভীর রাতে পাচারকালে ১৫টি গরু আটক করেছেন লামা থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২১ জুন) রাত ১টায় চোরাচালান কারবারীরা ট্রাকে করে রাতের আধাঁরে এইসব গরু নিয়ে যাওয়া সময় সন্দেহ হলে আটক করে লামা থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
জানা যায়, গত মাস দুয়েক ধরে চোরাকারবারি চক্র আন্তর্জাতিক সীমানা ডিঙ্গিয়ে থাইল্যান্ড থেকে মায়ানমার হয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা আলীকদমের পাহাড়ি পথে বাংলাদেশে গরু নিয়ে আসে। পরে সময় সুযোগ বুঝে দেশীয় গরুর সাথে মিশিয়ে স্থানীয় পশুর হাটের টোকেন সংগ্রহ করে এইসব বিদেশী গরু দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে।
লামা থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১০টায় একটি ট্রাকে ১৫টি গরু আলীকদম হতে লামা সড়ক দিয়ে চকরিয়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এতরাতে গরুর নেয়ার বিষয়টি সন্দেহ হলে পুলিশ গরুর কাগজপত্র যাচাই বাছাই করলে ব্যবসায়ীরা বিক্রয় টোকেন ছাড়া আর কোন কাগজপত্র দেখাতে সক্ষম হয়নি এবং টোকেনে ক্রেতা বিক্রেতার পরিপূর্ণ নাম ঠিকানা নেই। পরে সন্দেহজনক ইয়াংছা চেকপোস্টে আটক ১৫টি গরু মঙ্গলবার রাত ১টায় থানা হেফাজতে আনা হয়েছে।
লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ক্রয় রশিদে ক্রেতা বিক্রেতার পরিপূর্ণ ঠিকানা না থাকা, দেশি কিংবা চোরাচালানকৃত কিনা প্রাথমিক ভাবে সুনির্দিষ্ট করা না যাওয়ায়, গরু গুলো হেফাজতে নেওয়া হলো। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত: বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ত্রি-দেশিয় একটি চোরাকারবারী দল সীমান্তে চোরাচালান কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। সম্প্রতি কোরবানীর মৌসুমকে সামনে রেখে তারা গরু বাজারজাতে বাংলাদেশকে টার্গেট করেছে। ভৌগোলিকভাবে অনুকুল হওয়ায় থাইল্যান্ডের এ সব গরু মায়ানমার হয়ে আলীকদম-নাইক্ষ্যংছড়ির হয়ে পাহাড়ি সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আসে।
You must be logged in to post a comment.