হামিদুল হক; ঈদগড় :
কক্সবাজারের রামুর কচ্ছপিয়া নতুন তিতার এক মাদ্রাসা ছাত্রকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মৃত ব্যক্তি রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের নতুন তিতার পাড়ার শফিকুর রহমানের ছেলে, আবু সুফিয়ান (১৬)।
২৯ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে গর্জনিয়া পুলিশের এক দল সদস্যের উপস্থিতিতে তাকে দাফন করা হয়েছে।
অভিযোগের বিবরনে জানা যায়, নিহত আবু সুফিয়ান চট্টগ্রাম নতুন ব্রীজের পার্শ্ববর্তী একটি মাদ্রাসায় দশম শ্রেণীর ছাত্র। এর মধ্যে ২/৩ মাস আগে একই ইউনিয়নের বালুবাসা গোদাইয়া কাটার বর্ম্যাইয়া মাহমুদুল হক মাতব্বরের মেয়ের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। এক পর্যায়ে নিহত সুফিয়ান তার পরিবারের অমতে ওই মেয়েকে নোটারী মুলে বিয়ে করে। আর বান্দরবান জেলার লামা শরই ইউনিয়নের ৪নং কিয়াজুর পাড়া তার শাশুড় মাহমুদুল ও বউের বড় ভাই সাদ্দামের বাসায় বসবাস করতে থাকে। এর কিছুদিন যেতে না যেতে ওই বিয়ে তার কাল হয়ে দাঁড়ায় বলে জানান নিহতের মা।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে নিহতের স্ত্রী ও শাশুড়ি মোস্তফা খাতুন জানান, তাদের জামাইয়ের সাথে কাবিননামার স্ট্যাম্প ছিড়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এতে এক পর্যায়ে আবু সুফিয়ান রাত ১২টার দিকে ঘর থেকে বের হয়ে বাড়িতে এসে ছটফট করতে থাকলে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। ওইখানে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন কর্তব্যরত ডাক্তার। পরে চট্রগ্রাম মেডিকেলে ময়না তদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে শাশুড় বাড়ির লোকজন।
এদিকে নিহতের বাবা শফিকুর রহমানসহ তার পরিবারের দাবী তার ছেলেকে শাশুড় বাড়ির লোকজন মিলে অমানুষিক নির্যাতনসহ পিটিয়ে হত্যা করেছে। তারা ওদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করবে বলে জানান।
এ ঘটনায় এলাকার শতাধিক লোক জানান, নিহতের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ওই এলাকার মহিলা মেম্বার সাবেকুন নাহার জানান, পাবিবারিক কলহের জের ধরে আবু সুফিয়ানকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনার খবর পেয়ে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল মনসুরের নির্দেশে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মনজুর ইলাহী ও এএসআই নুরুল্লাহর সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এই নিয়ে এলাকায় উত্তজনা বিরাজ করছে। সচেতন মহলের দাবী এই ব্যাপারে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হউক।
এ ব্যাপারে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মনজুর ইলাহী জানান, তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শ করে লাশ দেখেছে। আর ওই ঘটনা বান্দরবানের লামা উপজেলায় হওয়া তাদের পক্ষে করার কিছুই নেই। এই ব্যাপারে তারা লামা থানায় মামলা করার পরামর্শ দেন।
পরে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল মনসুর জানান, ওই ঘটনাটি তার (ওসি) এর এলাকায় হয়নি। এই ব্যাপারে লামা থানা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তবে তিনি পুলিশ দিয়ে যতটুকু সহায়তা দরকার তা করেছে বলে নিশ্চিত করেন ৷
You must be logged in to post a comment.