সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / ভ্রমণ ও পর্যটন / রামুসহ জেলার পর্যটন স্পর্ট গুলোতে পর্যটকের সমাগম

রামুসহ জেলার পর্যটন স্পর্ট গুলোতে পর্যটকের সমাগম

কামাল শিশির; রামু :

ঈদের টানা ছুটিতে পর্যটকের আনাগোনায় মুখরিত এখন বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারসহ রামুর বিভিন্ন পর্যটন স্পর্ট গুলো। আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা জোরদারে কঠোর রয়েছে প্রশাসন।

কক্সবাজার সাগরে আছড়ে পড়ছে ঢেউ। আর এই ঢেউতে ঝাঁপিয়ে পড়ছে বেড়াতে আসা লাখো পর্যটক। কেউ টিউব নিয়ে সাতার কাটছে, আবার কেউ জেড স্কিতে চড়ে ঘুরে আসছে সাগরের স্বচ্ছ নীল জলরাশিতে। অনেকে সামুদ্রের পাড়ে চেয়ারে বসে এবং ভ্রমণ করে সময় কাটাচ্ছে।

সমুদ্র সৈকত ছাড়াও পর্যটকরা ঘুরছে হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক ও মেরিন ড্রাইভসহ জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে। আগত পর্যটকদের পদচারণায় উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে সাগরতীর। সব বয়সের মানুষ মেতেছেন আনন্দ উল্লাসে।

এছাড়াও রামুর স্বপ্ন তরী পার্ক,নারিকেল বাগান, সেনানিবাস, টুয়াক নীলাদ্রি লেক, অপরদিকে মাথিন কুপ, মহেশখালী জেটি, আদিনাথ মন্দির, ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কেও প্রতিনিয়ত পর্যটকদের ভীড় বাড়ছে। যা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি।

আগত পর্যটকরা জানান, ‘কক্সবাজার না এলে বুঝা যায় না এখানের মজাটা। তাই ঈদের ছুটিতে ছুটে এলাম সমুদ্রের পাড়ে’।

সাইমুন নামের এক পর্যটক জানান, ‘আমি প্রায়ই কক্সবাজার বেড়াতে আসি। অন্যন্য সময়ের তুলনায় এবারের নিরাপত্তাটা ভালো লেগেছে। টহল জোরদার ছিল ট্যুরিস্ট পুলিশের’।

পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসা ফিরোজ জানান, ঢাকা শহর প্রচণ্ড গরম। এখানেও গরম। তবে সমুদ্রের ভালোলাগাটা আলাদা। তাই পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি। সমুদ্র সৈকতে গোসল করে আনন্দের পাশাপাশি ফিরে পেয়েছি স্বস্থি’।

পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, পুরো রমজানে কোনো ধরণের ব্যবসা হয়নি। এবার তা পুষিয়ে উঠছে। আশা করা যায় এই ঈদের ছুটিতে দুই লাখের বেশি পর্যটকের সমাগম হচ্ছে। এরই মধ্যে শহরে থাকা প্রায় ৫০০ হোটেল-মোটেল বুকিং হয়ে গেছে।

বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তার ব্যাপারে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন জানান, বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। এবার দুই লাখের বেশি পর্যটকদের সমাগম হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছে বিচ কর্মী, লাইফ গার্ডসহ অন্যান্য আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। এছাড়া জোরদার রয়েছে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দ্বারা পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মোবাইল টিম। সকলের প্রত্যাশা বেড়াতে আসা পর্যটকের নিরাপদ ভ্রমণ।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

লামায় চাম্পাতলী বৌদ্ধ বিহার আগুনে পুড়ে গেছে https://coxview.com/fire-rafiq-16-4-24-1/

লামায় চাম্পাতলী বৌদ্ধ বিহার আগুনে পুড়ে গেছে

  মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম :পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা পৌরসভার চাম্পাতলী বৌদ্ধ বিহারের চেরাং ঘরে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/