Home / প্রচ্ছদ / অপরাধ ও আইন / রামু দারিয়ার দিঘীতে এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার

রামু দারিয়ার দিঘীতে এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার

কামাল শিশির; রামু :

রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের দারিয়ার দিঘী বড়ডেফা সিকান্দর পোলট্রি ফার্মের সংলগ্ন প্রায় ৮ ফুট পশ্চিম পার্শে ধানক্ষেত থেকে জুয়েল নামে (১৫) বছর বয়সের এক শিশুর মৃতদেহ ২ সেপ্টেম্বর বিকালে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত শিশু জুয়েল কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের হেডম্যানপাড়া এলাকার মনিরুজ্জামানের ছেলে। শিশুটির কানের বাম পাশে, ডান হাতের কব্জিতে এবং পিঠে বিভিন্ন ধরনের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খবর পেয়ে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আনোয়ারুল হোসাইন, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) অরুপ চৌধুরী, এস.আই মোহাম্মদ আমীর হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।

এ ঘটনায় পোলট্রি ফার্মের মালিক সিকান্দরের ১ মেয়ে এবং পুত্রবধূ, ফার্মের এক শ্রমিকসহ তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নিয়ে এসেছে পুলিশ।

এলাকাবাসী জানায় সিকান্দর পোলট্রি ফার্মের মালিক মোহাম্মদ সিকান্দার ও তারই ছেলে আবদু রশিদ, তারা মায়ানমারের নাগরিক, কক্সবাজার কলাতলীতে তারা বসবাস করে। কক্সবাজার থেকে ন্যাশনাল ভোটার আইডি কার্ড করে বাংলাদেশের নাগরিক বনে যায়। পোলট্রি ফার্মের মালিক সিকান্দরের ছেলে আবদু রশিদ বিয়ে করে দারিয়ার দিঘী বড়ডেফা এলাকার তাহের ডাক্তারের মেয়ে। আত্মীয়তার সুবাদে তাহের ডাক্তারের মালিকানাধীন জমি লিজ নিয়ে কক্সবাজার কলাতলী থেকে দারিয়ার দিঘী বড়ডেফা এসে পোলট্রি ফার্ম করে ব্যবসা করে এবং ফার্মের ভিতরে বসবাস করে সিকান্দারের পরিবার। নিহত শিশু জুয়েল দীর্ঘদিন পর্যন্ত সিকান্দরের মালিকানাধীন পোলট্রি ফার্মে চাকরি করত।

নাম প্রকাশ না শর্তে এলাকাবাসী জানান, সন্দেহ করা হচ্ছে যে, সিকান্দরের ছেলে আবদু রশিদ জুয়েলকে হত্যা করে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার আসল রহস্য উদ্ঘাটন করে প্রশাসনের কাছে নিহত শিশু জুয়েলের বিচার দাবি করেন এলাকাবাসী।

রামু থানার এস আই মোহাম্মদ আমীর হোসেন জানান লাশ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, নিহত পরিবারের পক্ষ থেকে এজাহার পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় মেম্বার গিয়াস উদ্দিন জানান আমি শুনেছি ফার্মের মালিক মায়ানমারের নাগরিক। নিহত শিশু জুয়েল সিকান্দরের পোলট্রি ফার্মে চাকরি করত, শিশুটির মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি, তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচার দাবি করছি।

স্থানীয় মেম্বার নছরুল্লাহ জানান ঘটনাস্থল আমার পার্শ্ববর্তী ওয়ার্ডে। আমি শুনেছি পোলট্রি ফার্মে বিদ্যুতের স্পৃষ্ট হয় শিশুটির মৃত্যু বরণ করেছে।

নিহত শিশু জুয়েলের ভাই রাসেল জানান সিকান্দরের পোলট্রি ফার্মে আমার চাকরি করে। আমার ভাই জুয়েল রাতে খেলা দেখে আমার চাচা আবু তাহেরের বাড়িতে ঘুমানোর জন্য গেলে পোলট্রি ফার্মের মালিক সিকান্দরের ছেলে আবদু রশিদ আমার ভাইকে চাচার বাড়ির থেকে ডেকে আনে, পোলট্রি ফার্মের সবাই মিলে আমার ভাইকে হত্যা করে। আমারা মামলা করব, আসামীদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান রাসেল ও তার পরিবার।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

লামায় পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে আহত করল সাজাপ্রাপ্ত আসামী

  মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম :বান্দরবানের লামায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হন পুলিশ ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/