নিজস্ব প্রতিনিধি; ঈদগাঁও :
নিজের দেশ থেকেও দেশ বিহীন নাগরিক রোহিঙ্গাদের সাহায়্যে এগিয়ে এলেন চার তরুণ। ত্রাণ সামগ্রী নিজ কাঁধে তুলে নিয়ে গেলেন দুর্গম এলাকায়।
মানবিক দৃষ্টিকোণ চিন্তা করে আমরা চার জন ইত্তেহাদ, হুমায়ুন, টুটুল ও মামুন মিলে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হুমায়ুন করিম সিকদার এর উদ্যোগে প্রথম নাইক্ষ্যছড়ির চাকঢালা দূর্গম এলাকায় ত্রাণ নিয়ে যায় ৩১ আগষ্ট।
মায়ানমারে নিপীড়িত, নির্যাতিত মুসলমানরা যে কতখানি অসহায় হয়ত স্বচক্ষে না দেখলে বিশ্বাসী হতনা! নাইক্ষনছডি চাকডালা দূর্গম এলাকা পাড়ি দিয়ে মায়ানমার বর্ডারের ওপারে গিয়ে দেখলাম কতটা অসহায় অবস্থায় খোলা আকাশের নিচে ঝড বৃষ্টিতে তাদের এই দিন যাপন। এই মানবেতর জীবন যাপন দেখে তাদের চোখে পানি ধরে রাখতে পারলেননা। কেউ স্বামী হারা স্ত্রী, কেউ ছেলে হারা মা, কেউ বোন হারা ভাই, এক বেলা খেয়ে দুই দিন উপোস। ছোট ছোট কোমল মতি বাচ্চাদের অসহায়ত্ব দেখে কোন মানুষ নিজেকে ঠিকভাবে মন স্হির রাখতে পারবে বলে মনে হয়না। মানুষ যে কতটা অমানবিক হিংস্র অত্যাচারী হতে পারে ওখানে যাওয়া ছাড়া বুঝা মুশকিল। ইচ্ছে হয় সব কিছু দিয়ে হলেও তাদের পাশে দাড়াঁয়।
যাদের কথা না বললেই নয়, আমরা এবং স্থানীয় অনেক লোকজন নিজ কাঁধে করে ত্রাণ গুলো ঝড় বৃষ্টির মধ্যে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূর্গম রাস্তা পাড়ি দিয়ে তাদের কাছে পৌছাতে সহযোগিতা করে।
আল্লাহ সবার এই কষ্ট গুলো কবুল করুন; আমিন। সকল মুসলমান ভাইদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, আপনারা যে যেভাবে পারেন এই নির্যাতিত অসহায় মুসলমান ও হিন্দু ভাই, বোনদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। আল্লাহ আপনাদের সহায় হবেন, ইনশাআল্লাহ।
You must be logged in to post a comment.