সাম্প্রতিক....
Home / জাতীয় / রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার প্রয়োজন: জাতিসংঘ

রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার প্রয়োজন: জাতিসংঘ

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সেনা অভিযানে প্রাণের ভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আশ্রয়, খাদ্য ও ত্রাণ সহায়তার ব্যবস্থা করতে এ মুহূর্তেই অন্তত ৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার দরকার বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএএইচসিআরসহ বাংলাদেশের সবগুলো ত্রাণ সংস্থার প্রতিনিধিরা আজ ৯ সেপ্টেম্বর পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য এক বৈঠকে বসে। এরপর ইউএনএইচসিআর কর্মকর্তা ভিভিয়ান ট্যান বলেন, আগত শরণার্থীদের ত্রাণের জন্য এখনই তাদের অন্তত ৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার প্রয়োজন।

ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, খুব অল্প সময়ে এত বেশি সংখ্যক রোহিঙ্গা প্রবেশ করায় তারা ত্রাণ দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। প্রতিদিনই আরও হাজার হাজার লোক আসছে, যাদের মধ্যে এক বড় অংশ নারী ও শিশু। এর আগে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনইইচসিআর স্থাপিত দুটি শরণার্থী শিবির পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় এখন রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীরা নানা জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছে। বিভিন্ন দেশ থেকে বিচ্ছিন্নভাবে অর্থের প্রতিশ্রুতি মিললেও সমন্বিতভাবে উদ্যোগের একটি অভাব দেখা যাচ্ছে।

ভিভিয়ান ট্যান বলেন, ‘নতুন আসা এসব মানুষের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ৬০ হাজার ঘর তৈরির প্রয়োজন। তার সঙ্গে দরকার খাদ্য, সুপেয় পানি এবং মানবিক স্বাস্থ্যসেবা বিশেষজ্ঞ ও যৌন সহিংসতা থেকে বেঁচে যাওয়াদের জন্য সহায়তাসহ সার্বিক স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা করাও জরুরি।’

তিনি জানান, জরুরি ত্রাণ সহায়তার জন্য এর মধ্যে জাতিসংঘের জরুরি ত্রাণ তহবিল থেকে ৭০ লাখ ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই অর্থ দিয়ে শরণার্থী শিবিরের ভেতরে ও বাইরে ৭৫ হাজার মানুষের জীবন বাঁচানোসহ মৌলিক সেবা নিশ্চিত করা হবে।

অন্যদিকে বিশ্বের ১৯০ টি দেশে রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট-এর প্রতি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশের রেড ক্রিসেন্ট। এর মহাসচিব মজহারুল হক বলেন, তারা এর মাধ্যমে এক কোটি ২০ লাখ ডলার সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গা একটি নৃগোষ্ঠীর নাম যাদের শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ ইসলাম ও ১০ ভাগ হিন্দু ধর্মাবলম্বী। রোহিঙ্গাদের আদি আবাসস্থল মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য। শত শত বছর ধরে রাজ্যটিতে বাস করা রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি না দিয়ে মিয়ানমার সরকার এ জাতিগোষ্ঠীকে নির্মূল করতে ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ চালাচ্ছে।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গত ২৫ আগস্ট থেকে নতুন করে সেনা অভিযান শুরু হয়। এ অভিযানে এখন পর্যন্ত ৪০০ জনকে হত্যা এবং ২৬০০ ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।

এর আগে, জাতিগত দ্বন্দ্বের জেরে ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে দেশটির সেনাবাহিনীর চালানো একই রকম অভিযানে কয়েকশত রোহিঙ্গা নিহত হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় হাজারো ঘরবাড়ি। ওই অভিযানের বর্বরতায় বাধ্য হয়ে অন্তত ৮০ হাজার রোহিঙ্গা পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় গ্রহণ করে।

২৫ আগস্ট থেকে দেশটির সেনাবাহিনী ‘কিলিং অভিযান’ শুরুর পর মিয়ানমার থেকে এখন পর্যন্ত মোট কত রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে তা নির্দিষ্ট করে বলা না গেলেও জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশ মুখপাত্র ভিভিয়ান ট্যান জানান, আগস্ট মাস থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ২ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।

সূত্র:নাজমুল হাসান শান্ত,priyo.com/ডেস্ক।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

লামায় চাম্পাতলী বৌদ্ধ বিহার আগুনে পুড়ে গেছে https://coxview.com/fire-rafiq-16-4-24-1/

লামায় চাম্পাতলী বৌদ্ধ বিহার আগুনে পুড়ে গেছে

  মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম :পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা পৌরসভার চাম্পাতলী বৌদ্ধ বিহারের চেরাং ঘরে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/