সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / লামার ফাঁসিয়াখালীতে সরকারী হাসপাতালের জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ

লামার ফাঁসিয়াখালীতে সরকারী হাসপাতালের জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ

Rafiq - Lama - 31-8-2015 (hospital)মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা :

পার্বত্য জেলা বান্দবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সরকারী জায়গা অবৈধ দখল করে একাধিক দোকানের প্লট তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে।

হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা ও উদাসীনতার কারণে ইতোমধ্যে ১ একর জায়গার অধিকাংশ জায়গাই বেদখল হয়ে গেছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের কমিউনিটি সেন্টার বাজারের স্থানীয় মোসারব আলী ২টি, সায়েদ আলী ২টি ও বর্তমান ওয়ার্ড মেম্বার একরামুল ৪টি স্থায়ী ইমারত নির্মাণ করে দোকান প্লট ভাড়া দিয়েছে। বর্তমান দোকান ভাড়াটিয়ারা হলেন, আনিছ, অহিদ মিয়া, মোঃ জব্বার, নুরুদ্দিন, মোসারফ আলী, মোঃ মমিন, হাজি লোকমান ও অজিদ বাবু।

স্থানীয় বাসিন্দা খোরশেদ আলম জানান, সরকারী দলের প্রভাব দেখিয়ে ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ওয়ার্ড মেম্বার একরামুল সহ মোসারব আলী ও সায়েদ আলী সরকারী হাসপাতালের জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ করেছে। এমনভাবে দোকান নির্মাণ করায় হাসপাতালে সেবা প্রত্যাশী রোগীদের চলাচলের রাস্তা পর্যন্ত বেদখল করে নিয়েছে ভূমিদস্যুরা। হাসপাতালের দায়িত্বরত প্রতিষ্ঠান বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা মার্মা নিজেই বিষয়টি অবগত হয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এলাকার স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে অতিশয় হাসপাতালের জায়গা দখল মুক্ত করার আবেদন করে শত শত এলাকাবাসি।

অবৈধ দখলদার একরামুল মেম্বারকে এবিষয়ে একাধিকবার তার মুঠোফোনে কল করলে মোবাইলটি (০১৮২৮-১৪৩৩২৮) বন্ধ পাওয়া যায়।

হাসপাতালের জায়গা দখল করার বিষয়ে বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা মার্মা জানান, দ্রুত অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে সরকারী জায়গা উদ্ধারের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/01/BGB-Rafiq-24-1-23.jpeg

বিপুল পরিমাণ পপিক্ষেত ধ্বংস করল বিজিবি

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম : পার্বত্য জেলা বান্দরবানে থানচি উপজেলা গহীণ অরণ্যে মাদক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/