জাতিংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে সেনা সরবরাহে এশিয়ায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম অবস্থানে রয়েছে ভারত, দ্বিতীয় পাকিস্তান।
শান্তিরক্ষা মিশনে মোট এক লাখ ৯ হাজার ৫০ জন শান্তিরক্ষী কাজ করছেন। তাদের মধ্যে এশিয়া থেকে অংশ নিয়েছেন ৩৬ হাজার ৪শ ১৪ জন।
জাতিসংঘের নিজস্ব কোনো সৈন্যবাহিনী নেই। সংস্থাটি বিভিন্ন দেশ থেকে শান্তিরক্ষীদের সংগ্রহ করে থাকে, যারা বিভিন্ন সংঘর্ষপ্রবণ দেশে কাজ করছেন। সৈন্য সংখ্যা বিবেচনায় শান্তিরক্ষা মিশন বিশ্বের ৪৪তম সেনাবাহিনী।
১৯৮৮ সাল থেকে বিশ্বের ৪০টি দেশে ৫৮টি শান্তিরক্ষা মিশনে মোট ৬ হাজার ৭শ ৭২জন বাংলাদেশি সেনা কাজ করছেন।
এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শান্তিরক্ষা মিশনে ৭ হাজার ৪শ ৭১ জন সৈন্য সরবরাহ করে ভারত প্রথম অবস্থানে রয়েছে। অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে ভারতের সৈন্যরা শান্তিরক্ষা মিশনে বেশি অংশগ্রহণ করেন।
পাকিস্তান ৭ হাজার ১শ ৬১জন সৈন্য নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। সোমালিয়া সংকটের সময় বিশ্বে প্রথম পাকিস্তান সাড়া দেয় এবং ১৯৯২ সালে ৫০০ সৈন্য পাঠায়।
নেপাল ১১টি শান্তিরক্ষা মিশনে সৈন্য পাঠিয়েছে, যারা আফ্রিকায় কাজ করছে। নেপাল রয়েছে চতুর্থ অবস্থানে।
১২৩টি দেশ থেকে অংশ নেওয়া ১ লাখেরও বেশি শান্তিরক্ষীদের মধ্যে ৯১ হাজার ১শ ৩২জন সেনা, ১৩ হাজার ৫শ ৬৩জন পুলিশ ও এক হাজার ৮শ ১১জন সেনা বিশেষজ্ঞ কাজ করছেন।
১৯৫০ দশকে ইন্দোনেশিয়া প্রথম সেনা সরবরাহ করে এবং দীর্ঘ সময় সেনা পাঠানো বন্ধ থাকলেও এখন আবার দেশটি সক্রিয় হয়েছে।
শান্তিরক্ষা মিশনে শেষ কয়েক বছরে চীন সৈন্য সরবরাহ বাড়িয়েছে। বর্তমানে দেশটি বিশ্বে ১২তম এবং এশিয়ায় ৬ষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে।
মঙ্গোলিয়া ৯৫০জন সেনা পাঠিয়েছে। মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও কম্পোডিয়া পৃথকভাবে প্রায় হাজারের কাছাকাছি সেনা সরবরাহ করেছে।
এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলংকা, জাপান, ভূটান, অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনেই, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও মিয়ানমার সেনা পাঠিয়ে শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিয়েছে।
সূত্র:priyo.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.