যুদ্ধবিরতি হলেও শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়নি ফিলিস্তিনে। গেল ২০ দিনে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ২ শিশুসহ ৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এছাড়াও বিভিন্ন হামলায় ১৪১ শিশুসহ ১ হাজার ৯০ জন আহত হয়েছেন। হতাহতরা সবাই অধিকৃত পশ্চিমতীর ও গাজার বাসিন্দা। শনিবার (৩১ জুলাই) জাতিসংঘ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।
গাজায় টানা ১১ দিন রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হলেও ইসরায়েল মাঝেমধ্যেই একতরফা রকেট হামলা চালিয়েছে অঞ্চলটিতে। পাশাপাশি পশ্চিম তীরেও নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর চালায় আগ্রাসন।
৮ জুলাই থেকে ২৮ জুলাই পশ্চিমতীর ও গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো হামলায় হতাহতের চিত্র উঠে এসেছে জাতিসংঘ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় পশ্চিমতীরে চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ১১ শিশুসহ ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একই সময়ে আহত হয়েছেন ১১ হাজার ২৩২ জন। যার মধ্যে শিশুর সংখ্যা ৫৮৪। আহতদের মধ্যে ৯৩৯ জন বেইতার বাসিন্দা। যে এলাকাটি ইসরায়েলি বাহিনীর অবৈধ দখলে।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্ব মূলত ভূমি দখলকে কেন্দ্র করে। ১৯৬৭ সাল থেকে পশ্চিমতীরের বেইতা শহরের প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা ইসরায়েলের দখলে। অঞ্চলটিতে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ৭৭ জন স্থানীয় ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এদিকে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর চলমান সহিংসতার অবসানে রাজনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। গেল বুধবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে সংঘাত-পরবর্তী পরিস্থিতি ব্যাখ্যায় এ আহ্বান জানান ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয়কারী লিন হাস্টিং। তিনি জানান, গাজার পরিস্থিতি উন্নতিতে অবশ্যই জরুরি প্রচেষ্টা এগিয়ে নিতে হবে। একই সঙ্গে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিরসনে বৃহত্তর লক্ষ্যে ছাড় দেওয়া যাবে না। এজন্য আন্তর্জাতিক আইন ও দ্বিপক্ষীয় চুক্তি এবং জাতিসংঘ প্রস্তাবের ভিত্তিতে দুই রাষ্ট্র নীতিতে সমাধানের পথে এগিয়ে যেতে হবে।
সূত্র: somoynews.tv/news – ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.