ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব শপথ নেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করে ত্রিপুরার উন্নয়নে বাংলাদেশের সহযোগিতা চেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আজ (শুক্রবার) সকালে বিপ্লব কুমার দেব ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি সহযোগিতা চেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীও তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, আজ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টার দিকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিপ্লব কুমার দেব। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিপ্লব দেবই প্রথম বিজেপি নেতা, যিনি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রিত্বের ভার নিয়েছেন। আগরতলায় আসাম রাইফেলসের মাঠে শপথ অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়।
ত্রিপুরার ভূমিপুত্র বিপ্লব কুমার দেবের পরিবারের আদি নিবাস বাংলাদেশের চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায়। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বাবা হিরুধন দেব এবং মা মিনা রানি দেব ত্রিপুরায় চলে যান। বিপ্লবের শৈশব ও স্নাতক পর্যন্ত শিক্ষাজীবন কেটেছে ত্রিপুরায়। পরে দিল্লিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন তিনি।
কৈশোর থেকেই আরএসএস-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল তার। পরে তিনি ধীরে ধীরে বিজেপি নেতা হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনে বিপ্লব কুমার দেবের নেতৃত্বে বিজেপি বিশাল জয় পেয়েছে। নির্বাচনে বিপ্লব কুমার দেবের নেতৃত্বে বিজেপি ৬০টির মধ্যে ৪৩টি আসন পেয়েছে। বিপ্লব নিজেও একটি আসনে বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন। রাজ্য বিজেপির সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে মাত্র দুই বছরের মধ্যেই দলটিকে ঐতিহাসিক বিজয় এনে দিয়েছেন বিপ্লব।
এদিকে, বিপ্লবের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার খবরে চাঁদপুরের কচুয়ায় বইছে আনন্দের বন্যা। শনিবার থেকেই কচুয়া উপজেলার সহদেবপুর পূর্ব ইউনিয়নের মেঘদাইর গ্রামের দেববাড়িতে (মাস্টারবাড়ি) ভিড় বাড়তে থাকে উৎসুক জনতার। আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যেও চলে মিষ্টি বিতরণ। সব মিলিয়ে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে কচুয়ায়।
সূত্র:deshebideshe.com;ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.