কক্সবাজার সিটি কলেজের পশ্চিম পাশে দক্ষিণ রুমালিয়ারছরায় ব্যাপক পাহাড় কাটা চলছে। পাহাড় কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এরপরও প্রভাবশালীরা তাদের ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে অবাধে পাহাড় কাটা অব্যাহত রেখেছে।
সিটি কলেজ ও তার আশ পাশে দীর্ঘদিন ধরে উৎসবমুখর পরিবেশে ভয়াবহ পাহাড় কাটা চলছে। ১০০ থেকে ৩০০ ফুট উঁচু এমন অনেক পাহাড় কেটে সমতল করা হয়েছে। পাহাড় কেটে প্লট তৈরি করে বিক্রি করা হয়েছে। সিটি কলেজ ও সিটি কলেজের আশে পাশে পাহাড় কাটার একাধিক মামলা হয়েছে। নির্বিচারে ভয়াবহ পাহাড় কাটার ঘটনায় স্থানীয় মৃত প্রফেসর নুর আহমদের পুত্র নাছির উদ্দিন মোঃ মহসিন চুন্নুকে প্রধান আসামী করে ৬নং ওয়ার্ডের গরুর হালদা রোডের মোহাম্মদ ইছহাকের পুত্র মোঃ ফোরকানসহ ৩/৪ জন প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে ১৪ অক্টোবর পরিবেশ আইনে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এর আগে ১১ আগস্ট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সোহাগ চন্দ্র সাহার নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথ অভিযান চালালে টের পেয়ে চুন্নু ও ফোরকানের শ্রমিকরা পালিয়ে যায়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা প্রশাসনের অভিযানকে বৃদ্ধাঙ্গুল প্রদর্শন করে গত ৭ দিন ধরে পাহাড় কাটা হচ্ছে। চুন্নু এবং ফোরকানের সাথে এবার নতুন করে পাহাড়কাটায় যোগ দিয়েছে ৫নং ওয়ার্ডের গোদার পাড়ার জাফর আলমের পুত্র মোঃ আমান। প্রায় দু’শ ফুট উঁচু পাহাড় কেটে তৈরি করা হয়েছে কিছু প্লট। এতে নির্মাণ করা হয়েছে ঘর।
এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম বলেন, পাহাড় কাটার খবর পেলেই ছুটে যায়। কার্যালয়ে লোকবল কম থাকা সত্বেও পাহাড়কাটা থামাসহ পরিবেশ সংরক্ষণে প্রাণপন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মামলাও করা হয়েছে অসংখ্য। মামলা দায়েরের পরও যারা পাহাড় কাটছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদনে তা উল্লেখ করা হবে।
You must be logged in to post a comment.