সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / শরণার্থী সমাচার / সীমান্ত অতিক্রম করার প্রহর গুণছে আরো দেড় লক্ষ রোহিঙ্গা : ক্ষোভ প্রকাশ করছে স্থানীয়রা

সীমান্ত অতিক্রম করার প্রহর গুণছে আরো দেড় লক্ষ রোহিঙ্গা : ক্ষোভ প্রকাশ করছে স্থানীয়রা

ফাইল ফটো

 

গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর লাগাতার বর্বরতা, জুলুম, র্নিযাতন ও ক্ষুধার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে, বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুণছে প্রায় ২ লক্ষ অসহায় রোহিঙ্গা। সাগর ও নদীতে ট্রলার চলাচল বন্ধ, কারণ এই সময়টি হচ্ছে জাতীয় ইলিশ মাছের ডিম ছাড়ার মৌসুম। তার পাশাপাশি গত ১ অক্টোবর থেকে আগামী ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ট্রলার চলাচল এবং মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এরপর থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঢল কমে আসতে শুরু করেছে।

এদিকে গত ২৫ অক্টোবর মিয়ানমারে সহিংস ঘটনার সুত্র ধরে রাখাইন সেনাদের বর্বরতা থেকে প্রানে বাঁচতে, মাত্র দেড় মাসের ব্যবধানে সীমান্ত অতিক্রম করে মানবিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে প্রায় ৬ লক্ষ রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গাদের পদবারে বর্তমানে উখিয়া-টেকনাফ এই দুই উপজেলার সাধারণ মানুষ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। বর্তমানে এই এলাকাটি রোহিঙ্গা নগরিত পরিণত হয়েছে। সুন্দর, সবুজ, প্রাকৃতিক দৃশ্যেঘেরা পাহাড় গুলো এখন রোহিঙ্গাদের দখলে। যেদিকে তাকাই শুধু রোহিঙ্গা আর রোহিঙ্গা। তাদের বসতি স্থাপনের জন্য সরকার নির্দিষ্ট স্থান ঠিক করে দিলেও এই দুই উপজেলার এমন কোন এলাকা নেই যেখানে তারা বসতি স্থাপন করেনি। আবার অনেক রোহিঙ্গা স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে জায়গা ভাড়া নিয়ে নিজ খরচে বসতি স্থাপন করেছে। বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে প্রভাবশালীরা পাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।

এ ব্যাপারে স্থানীয়রা অভিমত প্রকাশ করে বলেন রোহিঙ্গা আগমনের ঢল বন্ধ না করলে অথবা তাদের নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে না গেলে উখিয়া+টেকনাফের সাধারন মানুষ অসাধু রোহিঙ্গাদের আগ্রাসন থেকে রেহাই পাবে না। কারন অসাধু রোহিঙ্গা মাদক পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়বে। এতে স্থানীয় চোরাকারবারী লাভবান হলেও সব চেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবে যুব সমাজ ও আগামী প্রজন্ম।

তাদের দাবী যত তাড়াতাড়ী সম্ভব রোহিঙ্গাদের বসতির জন্য বাসান চর নামে যে জায়গাটি নির্দারন করা হয়েছে, সেই জায়গায় তাদেরকে সরিয়ে নিতে হবে। এর পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ে এবং কুটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্ত অসহায় রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত নেওয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারকে চাপ চিষ্টি করে জোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। শুক্রবার সীমান্ত অতিক্রম করে পালিয়ে আসা কয়েকজন রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাখাইন রাজ্যে নাইক্ষংদিয়া ও গদুর ছড়া সীমান্তে এবং বিভিন্ন পাহাড়ে অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় দেড় লাখেরও বেশী রোহিঙ্গা।

সূত্রে আরো জানা যায়, মিয়ানমারের বুচিডং এলাকাসহ রাখাইন পল্লীর জনগুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে লাগানো হয়েছে লাল রংয়ের সাইন বোর্ড। লেখা হয়েছে এটি (মগ) বৌদ্ধদের আদি বাসস্থান। এখানে রোহিঙ্গা বাঙ্গালিদের বসবাসের কোন অধিকার নেই। মাইকিং করে বলা হচ্ছে কয়েকদিনের মধ্যে রাখাইন রাজ্য ত্যাগ না করলে তাদের করুণ পরিণতি হবে।

১২ অক্টোবর সীমান্ত অতিক্রম করে আসা বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা নারীরা জানান নাফনদী পার হয়ে আসার জন্য  তাদের গ্রামসহ আশপাশের আরো কয়েকটি গ্রামের প্রায় দুই প্রায় ১ লক্ষ রোহিঙ্গা অপেক্ষার প্রহর গুণছে। তারা আসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, সাগর ও নদীতে নৌকা চলাচল শুরু হলেও তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করবে।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

লামায় চাম্পাতলী বৌদ্ধ বিহার আগুনে পুড়ে গেছে https://coxview.com/fire-rafiq-16-4-24-1/

লামায় চাম্পাতলী বৌদ্ধ বিহার আগুনে পুড়ে গেছে

  মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম :পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা পৌরসভার চাম্পাতলী বৌদ্ধ বিহারের চেরাং ঘরে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/