সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / সাম্প্রতিক... / সীমান্ত শহর টেকনাফে গ্রামীণফোন অনলাইন স্কুল… আকাশ লাইনে আশার আলো

সীমান্ত শহর টেকনাফে গ্রামীণফোন অনলাইন স্কুল… আকাশ লাইনে আশার আলো

SAMSUNG CAMERA PICTURES

আজাদ মনসুর : ১৪ জুন সোমবার রাত সাড়ে ১০টা। কক্সবাজার থেকে পৈত্রিক বাড়ি ঈদগাঁও ষ্টেশনে গাড়ি থেকে নেমে রিক্সায় উঠলাম। হঠাত্ মুঠোফোন বেজে উঠল। আমার সহকর্মী বন্ধু আবদুল্লাহ নয়ন’র ফোন। ১৫ জুন মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে টেকনাফ যেতে হবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম এর কিছু গণমাধ্যমকর্মী ও গ্রামীণফোনের কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ কক্সবাজার থেকে দু’জন গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে নিয়ে টেকনাফ একটা অনলাইন স্কুল পরিদর্শন করতে হবে। কথাশুনে মন্দ লাগল না। যেহেতু নিজেও একজন অনলাইন নির্ভর লোক সেহেতু সানন্দে সাড়া দিলাম। তাই ১৫ জুন মঙ্গলবার ১২টার দিকে কলাতলী কেএফসি তে অবস্থান করতে হবে বলে কথা শেষ করল নয়ন। তাই যথাসময়ে পরদিন নয়নসহ আমি কেএফসিতে অবস্থান করলাম। দুপুর ১টায় তাদের বহনকারী ৩টি গাড়ি কেএফসির সামনে হাজির। কেএফসি থেকে যাবতীয় খাবার প্যাকেটিং করে গাড়িতে উঠে পড়লাম সবাই। ঠিক ১টা ২০ মিনিটে গাড়ি বহর টেকনাফের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার ত্যাগ করল। মেরিন ড্রাইভ হয়ে গাড়ি চলতে লাগল। তখনও আমরা যাওয়ার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানিনা। গাড়িতে আমিও নয়নকে উদ্দেশ্য করে গ্রামীণফোনের স্পেশালিস্ট মিডিয়া রিলেশন কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ জানালেন যাওয়ার বিস্তারিত সারকথা। আমরা যে গাড়িতে ছিলাম সেগাড়িতে আমরা দু’জনসহ ৬ জন। পূর্বদেশের চীফ রিপোর্টার শামসুল ইসলাম, সুপ্রভাত বাংলাদেশের চীফ রিপোর্টার বৈয়ান নজরুল, আজাদীর স্টাফ রিপোর্টার বন্ধুবর রাশেদ পারভেজ, গ্রামীণফোনের তানভীর ভাই, আমি ও নয়ন। গাড়িতে পূর্বদেশের শামশুল ইসলাম ভাই ও নয়নের নজরকাড়া গানে মুগ্ধ সবাই। তাদের গানের মাধ্যমে কখন যে টেকনাফ পৌঁছে গেলাম বুঝতেই পারিনি। টেকনাফ শহর থেকে আরও ৩ কি.মি দূরে সী বিচ সড়কে যেতেই গ্রামীণফোন’র শীর্ষ কর্মকর্তা, কক্সবাজারের দু’জন মিডিয়াকর্মীসহ ঢাকা, চট্টগ্রাম’র প্রায় ২০ জনের একটি মিডিয়া টিম সাড়ে ৩ টায় পৌঁছে গেলাম সেই কাংখিত গন্তব্যস্থলে। সড়কটির বা’পাশের উপ সড়কে ঢুকে দেখি ডা’পাশে একটি সদ্য নির্মিত হলুদ একতলা বিল্ডিং।

দেশে অনলাইন স্কুলিং ধারনা বাস্তবায়নকারী দেশসেরা মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন, জাগো ফাউন্ডেশনের পাইলট প্রকল্প হিসেবে দেশের ১০টি স্কুলের মধ্যে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন উপকূলীয় গ্রাম খোনকার পাড়ায় চালু করেছে অনলাইন স্কুল। শিক্ষায় পিছিয়ে থাকা টেকনাফের উপকূলীয় একটি গ্রামে প্রযুক্তি নির্ভর এ ধরনের একটি স্কুল চালু হওয়ায় শিশুদের নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন হত দরিদ্র অভিভাবকরা। গ্রামটির অধিকাংশ মানুষ কৃষি ও মত্স্য চাষ করেন। নুন আনতে যাদের পান্তা ফোরায় তাদের আধুনিক অনলাইনভিত্তিক স্কুলে পড়তে পেরে দারুণ খুশি শিশু ও তাদের অভিভাবকরা। ফলে শিশুদের নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন ওইসব হতদরিদ্র পিতা-মাতা।

গেল বছরের ১০ ডিসেম্বর নার্সারী শ্রেণির ২৮ শিশুকে নিয়ে স্কুলটি চালু করা হলেও বর্তমানে ৩৯ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। স্কুলটিতে ভর্তি কার্যক্রমের সময় ৭২ জন শিশু শিক্ষার্থী অনলাইনে ভর্তি যুদ্ধে অংশ নেয়। প্রথম পর্যায়ে ২৮ জনকে নির্বাচিত করা হলেও পরে ৩৯ জনকে ভর্তি করানো হয়। সম্পূর্ণ ফ্রি এ স্কুলে পর্যায়ক্রমে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত চালু করা হবে বলে জানান কর্মকর্তারা। বৃটিশ কাউন্সিলের সিলেবাসে স্কুলের পাঠদান হয়ে থাকে। স্কুলটিতে গ্রামীণফোন’র আর্থিক ও অগ্নি সিস্টেম নামের একটি প্রতিষ্ঠান আইটি সাপোর্ট দিচ্ছে বলে জানানো হয়। প্রকল্প প্রতিষ্ঠাতা করভি রাখশান্দের উদ্যোগে শুরু হওয়া জাগো ফাউন্ডেশন’র অনলাইন স্কুল আজ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাইলট প্রকল্প হিসেবে শুরু হয়ে সাধরণদের দোড়গোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে।

জানা গেছে, ২০০৭ সালে ঢাকার রায়ের বাজার বস্তিতে দরিদ্র শিশুদের নিয়ে প্রথম অনলাইন স্কুল শুরু হলেও বর্তমানে লক্ষীপুর, রায়ের বাজার, বনানী, গাজীপুর, গাজীপুর জাগো হোম, টেকনাফ, বান্দরবান, লালখান বাজার, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, মাদারীপুর, গাইবান্ধা, হবিগঞ্জের জাগো ফাউন্ডেশন অনলাইন স্কুল চা বাগান পর্যন্ত বিভিন্ন দূর্গম এলাকায় ১০ টি স্কুল রয়েছে। এর মধ্যে টেকনাফ খোনকার পাড়ার স্কুলটি জেলার একমাত্র অনলাইন স্কুল।

এর আগে ২০১২ সালের শুরুর দিকে গাজীপুরে গ্রামীণফোন দেশের প্রথম অনলাইন স্কুল চালু করে। পরে ঢাকার দুটি এলাকায় আরও দুটি স্কুল চালু করে অপারেটরটি।

ক্লাস রুম ঘুরে দেখা দেছে, স্কুলটির ক্লাশ রুমে গিয়ে দেখা যায় চার থেকে ছয় বছর বয়সী ৩৯ জন শিশু মেঝেতে বসে কম্পিউটার মনিটরের দিকে তাকিয়ে আছেন। অনলাইন এই স্কুলটিতে কম্পিউটারের বড় মনিটরের মাধ্যমে ইন্টারনেটে সরাসরি শিশুদের শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। ঢাকার জাগো ফাউন্ডেশন অফিস থেকে শিক্ষকরা ক্লাস নিচ্ছেন। ক্লাসে ঢুকতেই আস্সালামু আলাইকুম ধ্বনিতে এক সাথে সুর তুলেন। মনিটরে প্রথমেই ভেসে আসলো ইংরেজি বর্ণমালার প্রথম বর্ণ ‘এ’। এর সাথে ছোট অক্ষরের ‘এ’। আর এটিকে বোঝানোর জন্য একটি অ্যাপেলের ছবি। মনিটরের এক কোণে রয়েছেন শিক্ষকের ছবি। তিনি ছবিটি দেখিয়ে বললেন, ছবিতে কি দেখা যাচ্ছে। তখন শিশুরা বলে উঠলো ‘এ’, ‘স্মল এ’, ‘এ ফর অ্যাপেল’। এভাবে ‘বি’, ‘স্মল বি’, ‘বি ফর বাস’, ‘ডি’, ‘স্মল ডি’, ‘ডি ফর ড্যান্স’,। এতো ছোট শিশুদের ইংরেজিতে পড়ানোর জন্য এবং মনোযোগ ধরে রাখার জন্য চিত্রের পাশাপাশি গান ও নাচের মাধ্যমেও শেখানো হচ্ছে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা। কবিতা আবৃত্তি করছিলেন সাড়ে চার বছরের শিশু ইশা।

বড় পর্দায় ভেসে উঠছে ক্লাসের পাঠ, তার এক কোণে শিক্ষক সাজিয়া আফরিন উত্সাহ যোগাচ্ছেন ছোট্ট ইশাকে। যা তাদের কাছে কোনো কঠিন ঠেকছে না বলে মনো হলো।

খোনকারপাড়া অনলাইন স্কুলে ক্লাসের ফাঁকে শিক্ষার্থী ইন্দিরা শর্মা ইশা জানায়, ক্লাস তার খুব ভালো লাগে। পর্দার কোণে অনলাইন শিক্ষককে দেখিয়ে বলে ‘ওই আপা ভালো ক্লাস নেয়’।

গান, কার্টুন, ও বিনোদনের মাধ্যমে শিশুদের এই ‘ক্লাস’ চলে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।

অনলাইন স্কুলে দূরবর্তী কোনো এলাকা থেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম চালানো হয়। ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে সিসকোর ওয়েব এক্সের মাধ্যমে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনলাইনে ক্লাস নেয়া হয়। ঢাকার রায়ের বাজার থেকে অভিজ্ঞ শিক্ষকরা অনলাইনেই ক্লাস নিয়ে থাকেন। পাশাপাশি স্কুলগুলোতে শিশুদের পরিচর্যা ও স্কুল পরিচালনার জন্য ২ জন ফিজিক্যাল টিচার নিযুক্ত করা হয়েছে। সফটওয়্যারের মাধ্যমে ক্লাস নেয়া হলেও ওয়েব এস সফটওয়্যারটি বেশ ইন্টারেক্টিভ হওয়াতে শিশুরা সহজেই শিখতে পারছে বলে জানিয়েছে ফিজিক্যাল টিচার শিল্পী শীল।

এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক শিল্পী শর্মা জানান, গ্রামে কোন স্কুল ছিলনা তাই তাদের সন্তানদের ঠিকমতো পড়ালেখা করাতে পারেনি। এখন বাড়ীর পাশে একটি আধুনিক ইন্টারনেট ভিত্তিক স্কুল চালু হওয়ায় তিনিসহ এলাকার অভিভাবকরা অত্যন্ত খুশী। এখন তারা স্বপ্ন দেখছেন তাদের সন্তানদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারবেন।

এ উদ্যোগ গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় স্কুলটি পরিচালনায় ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান অগ্নি সিস্টেম লিমিটেড এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন জাগো ফাউন্ডেশনকে কৃতজ্ঞতা জানান। শিল্পী শর্মা আরও বলেন, আর্থিক অনটনের কারনে মেয়েকে ভালো ভাবে পড়ালেখা করাতে ব্যর্থ হবেন এমন আশংকা তার। মেয়েকে পড়ালেখা করিয়ে সমাজে অন্য দশজনের মত করে গড়ে তুলবেন। কিন্তু স্বল্প আয়ে তাদের সে স্বপ্ন পূরণ করার কোনো উপায় ছিল না। কিন্তু টেকনাফ অনলাইন স্কুল প্রতিষ্ঠার পর তাদের সেই স্বপ্ন এখন পূরণ হবে বলে মনে করেন তিনি। আর তাই মেয়েকে নিয়ে প্রতিদিন দুর্গম পাহাড় পাড়ি দিয়ে চলে আসেন স্কুলে। বসে থাকেন মেয়ের স্কুল ছুটি পর্যন্ত। তিনি বলেন, গরিবের জন্য অনলাইন স্কুলটি অনেক ভালো মহতি কাজ বলে মনে করেন।

তারা সবাই বিনা বেতনে এ স্কুলে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। অভিভাবকদের কোনো ব্যয় করতে হয় না। নিজেদের খাতা-কলম, বই কোনো কিছুই কিনতে হয় না। শিক্ষার পাশাপাশি সপ্তাহে একদিন পুষ্টিকর খাবারসহ সাবান, চেম্পু, ও হাইজিন প্রডাক্ট, ইউনিফর্ম, ব্যাগ, জুতা সরবরাহ করে থাকবে গ্রামীণফোন।

স্কাইপ এর মাধ্যমে লাইভ যোগাযোগ করা যায়, তাহলে শিক্ষা দেওয়া যাবে না কেন- এ ধারণা থেকে ২০১১ সালে প্রথম অনলাইন স্কুলের যাত্রা শুরু হয় বলেন জানালেন, জাগো ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ম্যানেজার (কমিউনিকেশন বিভাগ) নদী রশীদ। তিনি বলেন, গুণগত ও মানসম্মত শিক্ষা দেওয়াই অনলাইন স্কুলের উদ্দেশ্য।

খোনকারপাড়া অনলাইন স্কুলের প্রজেক্ট ম্যানেজার সাইদুল ইসলাম মিঠু বলেন, গতানুগতিক স্কুল থেকে ভিন্ন হওয়ায় এই স্কুলের প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ অনেক বেশি। সুবিধাবঞ্চিত, স্থায়ী পরিবার ও বাবা-মায়ের আগ্রহ রয়েছে- এমন চার থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের স্কুলে ভর্তি করা হয়।

গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় জাগো ফাউন্ডেশন ও অগ্নি’র উদ্যোগে ঢাকার রায়ের বাজারে স্থাপিত স্টুডিও থেকে প্রশিক্ষিত শিক্ষকের মাধ্যমে ৫ শত ৮৫ কিলোমিটার দূরে এভাবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত অর্ধশত শিশু।

টেকনাফের এই স্কুলের প্রায় (নাপিত) ছেলেমেয়ে লেখাপড়া করে। মায়েরা প্রতিদিন তাদের স্কুলে নিয়ে আসেন।

এ বিষয়ে গ্রামীণফোনের কমিউনিকেশনস বিভাগের হাফিজুর রহমান বলেন, শুধু গ্রামীফোন কর্তৃপক্ষ নয়, টেলিনরও অনলাইন স্কুলের ওপর অনেক জোর দিয়ে থাকে। এ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আরও বেশ কিছু স্কুল গড়ে তোলা হবে বলে জানানো হয়।

তিনি বলেন, স্কুলটি সম্পর্কে হাফিজুর রহমান আরও জানান, টেকনাফে অনলাইন স্কুল এ অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের আধুনিক শিক্ষা দেবে, যা ভবিষ্যতে তাদের বড় হয়ে উঠতে সাহায্য করবে। সবার জন্য ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে গ্রামীণফোন যে উদ্যোগ নিয়েছে, সে পথে এ ধরনের সামাজিক উদ্যোগ তা এগিয়ে নেবে বলেই মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, যে কোনো চ্যালঞ্জ নিয়ে সকলে মিলে কাজ করলে সেক্ষেত্রে সফলতা অর্জন সম্ভব।

শহরের শিশুরা যে সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে গ্রামের শিশুরা তা পাচ্ছে না। এজন্য শহর ও গ্রামের শিশুদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি হচ্ছে। কিন্তু ইন্টারনেট সেই বৈষম্যের ব্যবধান ঘুচিয়ে দিয়েছে। তা সত্যই অন্যরকম এক সফলতা। আর এটি সম্ভব হয়েছে কেবল ইন্টারনেটের মাধ্যমে। তিনি বলেন, সামাজিক ক্ষমতায়ন হলো গ্রামীণফোনের ভিশন। আর এটি হলো সেই ভিশন বাস্তবায়নের অন্যতম কাজ। তিনি স্কুলটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্থানীয়দের প্রতি আহবান জানান।

গ্রামীণফোনের স্পেশালিস্ট মিডিয়া রিলেশন কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ বলেন, দেশে থ্রিজি সেবা চালু হওয়ার ফলে অনলাইন স্কুল এবং অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে।

তা ছাড়া এর মাধ্যমে অপারেটরটি দেখাতে চায়, ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেশের শিক্ষা-স্বাস্থ্যকে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।

বর্তমানে ১০ স্কুলে ৬৯০ জন শিক্ষার্থী, ২৩ জন অনলাইন টিচার ও ফিজিক্যাল টিচার-মেনটোর রয়েছেন ৪৬ জন। অনলাইন স্কুলে তুলনামূলক ঝরে পড়ার সংখ্যা কম। গত বছর পর্যন্ত যা ছিল ১১ জন।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সিলেবাস অনুযায়ী স্কুলগুলোতে ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়া হয় বলে জানান কর্মকর্তারা।

ঢাকার রায়ের বাজারে অত্যাধুনিক স্টুডিওতে ১০টি বুথ দিয়ে ২০টি স্কুল চালানো সম্ভব বলেও জানান উদ্যোক্তারা।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

লামায় চাম্পাতলী বৌদ্ধ বিহার আগুনে পুড়ে গেছে https://coxview.com/fire-rafiq-16-4-24-1/

লামায় চাম্পাতলী বৌদ্ধ বিহার আগুনে পুড়ে গেছে

  মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম :পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা পৌরসভার চাম্পাতলী বৌদ্ধ বিহারের চেরাং ঘরে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/