সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / কলাম / স্থানীয়দের বেশীকরে সেবার আওতায় আনার চেষ্টা করছি : ডিসি কামাল

স্থানীয়দের বেশীকরে সেবার আওতায় আনার চেষ্টা করছি : ডিসি কামাল

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের রোহিঙ্গা শরণার্থী ব্যবস্থাপনা জাতীয় দুর্যোগের মডেল : মন্ত্রণালয়

-: মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :-

রোহিঙ্গা শরণার্থী আগমনের সময় মানবিক বিপর্যয় মোকাবেলায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসন যে উদ্যোগ গ্রহন করেছিলো, এটা অনন্য একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। যা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে, এটি সমস্যা সমাধানের মডেল হিসেবে কাজ করবে। জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস-২০১৯ উপলক্ষে গত ২৩ জুলাই কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে প্রদত্ত জনপ্রশাসন পদক প্রদানের উপর ভিত্তি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক তৈরীকৃত ভিডিও ডকুমেন্টারিতে একথা বলা হয়। একইদিন ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রাষ্ট্রপতি এডভোকেট আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে অন্যান্যদের সাথে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনকে এ গুরুত্বপূর্ণ পদক, মেডেল ও সনদ প্রদান করেন।

পদক প্রদানের আগে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কৃতিত্ব নিয়ে ১ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের ডকুমেন্টারি ভিডিওটা প্রদর্শিত হয়। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে জাতীয় পর্যায়ে সাধারণ ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক শ্রেণিতে এ গৌরবময় পদক প্রদান করা হয়। ভিডিও ফুটেজে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বলেন-জিআরপি থেকে ২৫ ভাগ অর্থ ও রোহিঙ্গাদের জন্য এনজিও গুলোর শতকরা ২৫ ভাগ বরাদ্দ স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কল্যাণে ব্যয় হয়। আরো যাতে স্থানীয় জনগণকে বেশী করে সেবার আওতায় আনা যায়, সেজন্য আমরা এখন কাজ করছি।

নিম্মে ডকুমেন্টারি ভিডিও’টির বক্তব্য হুবহু তুলে ধরা হলো:
মন্ত্রণালয়ের বক্তব্যের প্রথম অংশ-
“মানুষ মানুষের জন্য। বাংলাদেশ সবসময়ই বিশ্বের অত্যাচারিত মানুষের পাঁশে দাঁড়িয়েছে। মিয়ানমারের মানবিক বিপর্যয়েও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। মিয়ানমারের মানবিক বিপর্যয়েও সর্বপ্রথম এগিয়ে এসেছিল কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রতি অপ্রতুল জনবল নিয়ে এগিয়ে এসেছিলেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কর্মীরা। তাই মানবিক বিপর্যয় মোকাবেলায় অত্যন্ত দক্ষ ও সৃজনশীল ব্যবস্থাপনা কৌশল অবলম্বন করে স্থানীয় মানুষজন ও জেলার সকল সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এ কার্যক্রমের অংশীদার করে নিয়েছিলেন। ফলে অপ্রতুল লোকবল নিয়েও কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সফলভাবে এ বিপর্যয় মোকাবেলা করতে পেরেছে।”

 

ডকুমেন্টারি ভিডিও ফুটেজে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনের বক্তব্য:
“আমরা জিআরপি’র ২৫ ভাগ অর্থ যাতে বরাদ্দ থাকে, এজন্য মোটিভেট করেছি। আমাদের এনজিও গুলো যাতে তাদের যে রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্দ আছে তার ২৫ % বরাদ্দ স্থানীয় জনগণের কল্যানে ব্যয় হয়, সেটাও ব্যবস্থা রেখেছি। রোহিঙ্গার কারণে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি উপকরণ বিতরণ সহ নানাবিধ উন্নয়ন কাজ কোষ্ট কমিউনিটির মাধ্যমে হয়েছে এবং এটাকে আরো যাতে সুন্দরভাবে করা যায়, আরো যাতে স্থানীয় জনগণকে বেশী করে সেবার আওতায় আনা যায়, সেজন্য আমরা কাজ করব এবং আমাদের যে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন, সেটা বাস্তবায়নে আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করব।”

 

ডকুমেন্টারি ভিডিও তে মন্ত্রণালয়ের বক্তব্যের শেষ অংশ :

“মানবিক বিপর্যয় মোকাবেলায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসন তাদের এই উদ্যোগের মাধ্যমে অনন্য একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। যা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে, এটি সমস্যা সমাধানের মডেল হিসেবে কাজ করবে। মহতি এই উদ্যোগ গ্রহনের জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে জাতীয় পর্যায়ে সাধারণ ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক শ্রেণিতে পদক প্রদান করা হচ্ছে।”

প্রসঙ্গত, বিভিন্ন ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন পদকপ্রাপ্ত সকলের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক এ রকম ডকুমেন্টারি ভিডিও ফুটেজ তৈরি ও প্রদর্শন করা হয়।

এদিকে, এ মূল্যবান জনপ্রশাসন পদক পেতে নাপেতেই চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় কর্তৃক প্রণীত ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম বিভাগের শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক হিসেবে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন নির্বাচিত হন এবং চট্টগাম বিভাগের শুদ্ধাচার পুরস্কার অর্জন করেন। গত ২৫ জুলাই এ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল মান্নান বলেন, দ্রুততম সময়ে নাগরিক সেবা প্রদান, ই- ফাইলিং কার্যক্রমে অগ্রগতিসহ Public Perception এর উপর ভিত্তি করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে এ পুরস্কার প্রদান করা হলো।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

দ্রুত ও স্থায়ী অবসান হোক রোহিঙ্গা সমস্যার

-: তাওহীদুল ইসলাম নূরী :- ২৫ আগষ্ট ২০১৯, রোহিঙ্গা সমস্যার দুই বছর পূর্তি হল। একে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/