সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / পুষ্টি ও স্বাস্থ্য / হৃদরোগের কারণ ও সুস্থ রাখার উপায়

হৃদরোগের কারণ ও সুস্থ রাখার উপায়

https://i0.wp.com/coxview.com/wp-content/uploads/2022/01/Health-Heart-Disease.jpg?resize=540%2C309&ssl=1

হৃদরোগ থেকে বাঁচতে হলে এর প্রতিকার সম্পর্কে জানা জরুরি:

অনলাইন ডেস্ক :
মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মধ্যে হার্ট বা হৃদপিণ্ড একটি জরুরী অঙ্গ। হৃদরোগ বলতে সাধারনভাবে হৃৎপিন্ড, রক্তবাহী ধমনী ও শিরা, মস্তিষ্ক ও বৃক্ক সম্পর্কিত রোগকে বোঝায়। হৃদরোগের অনেক কারণের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ ও অ্যাথেরোসক্লোরোসিস প্রধান।

দিন দিন হৃদরোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সারাবিশ্বে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর প্রায় ২ কোটি লোক মৃত্যুবরণ করে। তার বেশির ভাগ নিম্ন ও মধ্যবিত্ত। একবার হার্ট এটাকে আক্রান্ত হলে প্রায় শতকরা ৪০ ভাগ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। জীবন পদ্ধতির পরিবর্তন, খাদ্যাভ্যাসে বদল ও কায়িক শ্রমের অভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। সময়মতো সচেতন না হলে যেকোনো সময় হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।

হৃদরোগের কারণ :
যখন হৃদপিণ্ডের কোনো শিরায় রক্ত জমাট বেঁধে হৃদপিণ্ডে রক্ত প্রবাহে বাধার সৃষ্টি করে তখনই হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগ হয়। পারিবারিক হৃদরোগ ইতিহাস, বয়স, মানসিক চাপ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ করোনারি হৃদরোগের একটি মারাত্মক রিস্ক ফ্যাক্টর, অতিরিক্ত ধূমপান, অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা এবং অলস জীবনযাত্রা, অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত উৎকণ্ঠা, অতিরিক্ত মদ্যপান।

হৃদরোগের লক্ষণ :
* হৃদরোগে আক্রান্ত হলে ঘনঘন শ্বাস-প্রশ্বাস ওঠানামা করে। অনেক সময় রোগী ঘামতে থাকে। এমনটা প্রবল শীতেও হতে পারে।
* কোনো কারণ ছাড়াই শারীরিক দুর্বলতা।
* হঠাৎ করে অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়া।
* অনেক সময় বদহজমের সমস্যা এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যা দেখা দেয়া।
* কোনো কারণ ছাড়াই মাথা ঘোরানো, বমি বমি ভাব।
* পেটের উপরের অংশ, কাঁধ, পিঠ, গলা, দাঁত ও চোয়াল এবং বাম বাহুতে হুট করে অতিরিক্ত ব্যথা হওয়া বা চাপ অনুভব অথবা আড়ষ্টতা অনুভব করাও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ।

হৃদরোগ থেকে বাঁচতে হলে এর প্রতিকার সম্পর্কে জানা জরুরি:

* খাবার বিষয়ে সচেতন হতে হবে, শর্করা এবং চর্বিজাতীয় খাবার কম খেতে হবে। আমিষের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে।
* ধূমপান ত্যাগ করতে হবে, ওজন, রক্তচাপ ও সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
* সপ্তাহে অন্তত পাঁচদিন আধা-ঘণ্টা হাঁটতে হবে, নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, হাঁটাহাঁটি এবং আখরোট খাওয়ার মাধ্যমে কোলেস্টরলও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
* ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন।

হার্ট অ্যাটাক হলে :
রোগীদের প্রথমে শুইয়ে দিতে হবে। এরপর জিহ্বার নিচে একটি এ্যাসপিরিন ট্যাবলেট রাখতে হবে। যদি পাওয়া যায় তবে এ্যাসপিরিনের পাশাপাশি একটি সরবিট্রেট ট্যাবলেট রাখতে হবে। এরপর দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কেননা প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যেই হার্টের মাংসপেশির সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়।

এছাড়াও হৃদরোগের জন্য ভালো খাবার ফল ও সবজি। তৈলাক্ত খাবার হৃদরোগের জন্য বেশি ক্ষতিকারক। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে সুগার এবং কোলেস্টেরলের স্বাভাবিক মাত্রা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। রক্তচাপ পরিমাপও জরুরি।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

রামুতে তরমুজের দাম চডা :হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতারা

  কামাল শিশির; রামু :কক্সবাজারের রামু উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পবিত্র মাহে রমজানের শুরুতে বিভিন্ন এলাকায় ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/