মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা :
জেএসএস ও ইউপিডিএফ সন্ত্রাসী কর্তৃক অপহরন, গুম, খুন, চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে শনিবার ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত লামায় অবরোধ কর্মসূচী পালন করেছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মুরুং সম্প্রদায়। পূর্বঘোষিত কর্মসূচী না হওয়ায় হঠাৎ করে অবরোধ পালনে ভোগান্তিতে পড়ে লামা, আলীকদম ও দূরদুরান্ত থেকে আসা লোকজন।
শনিবার ভোর থেকে লামা উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে মুরুং সম্প্রদায়ের লোকজন প্লেকার্ড ও পোষ্টার হাতে নিয়ে অবরোধ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়।
ফাঁসিয়াখালী-লামা সড়কের ইয়াংছা, মিরিঞ্জা, লাইনঝিরি এবং লামা-সুয়ালক সড়কের কেয়াজুপাড়া বাজার, ডিসি রোড, সাপমারা ঝিরি, সরই ইউনিয়নের হাসনাভিটা, কিল্লাখোলা পয়েন্টে মুরুং জনগোষ্ঠী সহ বাঙ্গালী লোকজন অবরোধ কর্মসূচী পালন করে।
মূল পিকেটিং স্থান ছিল লামা-আলীকদম-চকরিয়া সংযোগ সড়কের লাইনঝিরি নামক স্থানে। মুরুং সম্প্রদায়ের নেতা ইয়ং লক মুরুং ও চংবচ মুরুং এর নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন এখানে অবস্থান করে। প্রত্যেক্ষদর্শিরা জানায়, ভোরে চট্টমেট্রো ট ১১-৩৪৫৯ ট্রাক গাড়িটি চকরিয়া যাওয়ার পথে পিকেটাররা গাড়ি চাকা খুলে ফেলে। রাস্তার মধ্যে গাড়িটি এমনভাবে আড়াআড়ি করে রাখে কোন গাড়ি এপার থেকে ওপারে যাওয়ার সুযোগ ছিলনা। ভোগান্তির শিকার লোকজন বলেন, পিকেটারদের শক্ত অবস্থান না থাকলেও ট্রাক গাড়িটির কারণে তাদের অবরোধ সফল হয়েছে।
অপরদিকে ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পংকজ ভট্টাচার্যের শনিবার লামা আগমনের কথা থাকলেও পিকেটারদের শক্ত অবস্থানের কারণে তাদের ফিরে যেতে হয়েছে বলে জানা যায়।
বিভিন্ন স্থানে অবরোধ পালন কালে পিকেটাররা নানান শ্লোগান দিতে দেখা যায়। ১২ জাতির এক দাবি জেএসএস সন্ত্রাসী মুক্ত পার্বত্য ভূমি। জেএসএস সন্ত্রাসী হুশিয়ার-সাবধান। ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের কালো হাত ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও। ৪০ হাজার বাঙালী হত্যাকারী সন্তু লারমার ফাঁসি চাই। আওয়ামীলীগ নেতা মংপ্রæ মার্মা খুনের বিচার চাই, করতে হবে। অপরদিকে বিভিন্ন পয়েন্টে নিরাপত্তা জোরদারের জন্য পুলিশ বাহিনীর টহল ও অবস্থান লক্ষ্য করা যায়।
You must be logged in to post a comment.