চিকিৎসা জন্য টানা ৯৪ দিন লন্ডনে অবস্থানের পর অবশেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। ১৮ অক্টোবর বুধবার বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে তাকে বহনকারী বিমানটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টা ৫০ মিনিটে তিনি হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা হন। সেসময় বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার পরিবারের সদস্যসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বিমানে ওঠার আগে বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনাল থেকে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে সেখানে উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া। নেতাকর্মীরা বিমানবন্দরের বাইরে দাঁড়িয়ে দলীয় প্রধানের বক্তব্য শোনেন।
এদিকে বাংলাদেশে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে দুপুরেই দলের শীর্ষ নেতারা পৌঁছে যান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরের ভেতরে প্রবেশ করার অনুমতি পান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল কাইয়ুম, দেহরক্ষী মাসুদ রানা ও গুলশানের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের কর্মচারী জসিম।
ইতোমধ্যে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসভবনের দিকে রওনা দিয়েছেন।
অন্যদিকে প্রিয় নেত্রীকে স্বাগত জানাতে বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মী দুপুরের মধ্যেই বিমানবন্দর এলাকা ও বিমানবন্দর সড়কে অবস্থান নিতে শুরু করেন। সেসময় তারা খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানিয়ে নানা রঙয়ের ব্যানার-ফেস্টুন-প্ল্যাকার্ড বহন করে ও রাস্তার দুই ধারে মানবপ্রাচীর তৈরি করেন।
প্রসঙ্গত, চোখ ও পায়ের চিকিৎসার জন্য গত ১৫ জুলাই লন্ডন যান খালেদা জিয়া। সেখানে বড় ছেলে তারেক রহামানের বাসায় উঠেন। লন্ডনে থাকা অবস্থায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট, জিয়া চেরিটেবল দুর্নীতি মামলাসহ পাঁচ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। দুর্নীতি, নাশকতা, রাষ্ট্রদ্রোহসহ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মোট ৩৫টি মামলা রয়েছে।
সূত্র:আবু আজাদ-priyo.com;ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.