কক্সবাজার সদর উপজেলার জালালাবাদে আগামী ইউপি নির্বাচনে সম্ভাব্য হেভিওয়েট প্রার্থীরা মাঠে রয়েছে। এমনকি এখন থেকে এলাকাজুড়ে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। এ নিয়ে সম্ভাব্য অনেক প্রার্থী বিশাল এলাকাকে নিজেদের অনুক‚লে আনার লক্ষ্যে মাঠ গোছাতে ব্যস্তমুখর হয়ে পড়েছে।
জানা যায়, আগামী বছরের মার্চের দিকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের খবর চাউর হওয়ার সুযোগে সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা সম্প্রতি তাদের এলাকায় এখন থেকে সময় দিচ্ছে। লক্ষ্য শুধু একটাই ইউপি নির্বাচন আসার আগেই প্রচার প্রচারণা আর পরিচিতি লাভ করা।
এদিকে আগামী ইউপি নির্বাচনে নয়া কৌশল হিসাবে বেছে নিয়েছে এসব চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা। জালালাবাদ ইউনিয়নের নানা স্থান ঘুরে একাধিক জনের সাথে কথা হলে এ চিত্র ফুটে উঠে।
অন্যদিকে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা জালালাবাদের নানা এলাকায় যে যার যার অবস্থান থেকে ব্যাপক আকারে না পারলেও স্বল্প আকারে হলেও অসহায় মানুষদের পাশে অবস্থান নিচ্ছে। আবার অনেকে নির্বাচনী কৌশল হিসাবে নিজেদের লোকজন নিয়ে হরেক রকম আয়োজনের মাধ্যমে তাদের বেশ ভুষণ ইতোমধ্যে এলাকার সর্বপেশার লোকজনদেরকে জানান দিয়েছে। এরই ফাঁকে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাদের পরিচিতি ও প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করছেন এলাকার সর্বশ্রেণীর লোকজনের মাঝে। এভাবে চলছে এলাকায় ইউপি নির্বাচনী হাওয়া। এ ইউনিয়নে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা নানা কৌশলে কিংবা অনুষ্ঠানসহ সভা-সমাবেশে গিয়ে তাদের পরিচিতি তুলে ধরতে দেখা যায়।
অন্যদিকে এসব সম্ভাব্য প্রার্থীদের শুভাকাঙ্খী, দলীয় কর্মী কিংবা এলাকায় এলাকায় গিয়ে নির্বাচনী মাঠ নিজেদের অনুকূলে আনার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এ লক্ষ্যে অনেক প্রার্থী ইউনিয়নের আওতাধীন ৯টি ওয়ার্ডে প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আবার অনেক প্রার্থী নিরব থাকলেও সময়ে মুখ খুলতে পারে এমন আভাসও পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সম্ভাব্য হেভিওয়েট চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে মাঠে রয়েছে – জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জসিম উল্লাহ মিয়াজী, জালালাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সেলিম মোর্শেদ ফরাজী ও ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলমগীর তাজ জনিসহ আরো অনেকের নাম লোকমুখে শোভা পাচ্ছে। তবে অন্যদিকে জালালাবাদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে আগামী ইউপি নির্বাচনে তরুণ নেতৃত্ব হিসাবে মেম্বার পদে নির্বাচনের ইচ্ছা পোষণ করছেন অনেকে। এ লক্ষ্যে তারা এখন থেকে গ্রামের লোকজনদের সাথে আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে নানা সূত্রে প্রকাশ।
এদিকে ইউপি নির্বাচন প্রসঙ্গে জালালাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি সেলিম মোর্শেদ ফরাজী, সারাজীবন রাজপথে ছিলাম, অসহায় মানুষের পক্ষে অবস্থান নিয়েছি। তাই আগামী ইউপি নির্বাচনে আমার ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করার ইচ্ছা পোষণ করছি। সেক্ষেত্রে তার ইউনিয়নবাসীর কাছ থেকে সার্বিক সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করছেন বলে জানান।
অপরদিকে আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক যুবদল নেতা আলমগীর তাজ জনি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনিও নির্বাচন করার কথা জানিয়েছেন। আবার ব্যবসায়ী জসিম উল্লাহ মিয়াজীর ছোট ভাই শহিদুল্লাহ মিয়াজী- তাঁর বড় ভাই বর্তমানে সৌদি আরবে হজ্জ্ব পালনের লক্ষ্যে অবস্থান করছেন। তিনি আগামী নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে লড়বেন বলে সত্যতা প্রদান করেন।
You must be logged in to post a comment.