হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া:
দুই বিদেশি নাগরিক খুন হওয়ার পর দেশের অন্যান্য স্থানের মতো কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী উপজেলা উখিয়া-টেকনাফে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এই দুই উপজেলায় দুইটি রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প রয়েছে। উখিয়া কুতুপালং ও টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে কর্মরত ইউ.এন.এস.সি.আর, এম.এস.এফ (হল্যান্ড), এ.সি.এফসহ বিভিন্ন বিদেশি এনজিওগুলোতে দায়িত্বরত বিদেশিদের চলাচলে সর্বাত্মক নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত এলাকায় বিদেশিদের চলাচলে কড়াকড়ি আরোপের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে।
উখিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম খাঁন বলেন, রাজধানির গুলশান এলাকায় ইতালির নাগরিক এবং রংপুরে জাপানি নাগরিক হত্যার ঘটনায় সীমান্ত এলাকায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এদিকে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের মোড়ে মোড়ে পুলিশের তল্লাশির কারণে যানবাহন চলাচল কমে গেছে। বিশেষভাবে নজর দেয়া হচ্ছে মোটরসাইকেলের উপর। এছাড়া প্রাইভেটকার, সিএনজিসহ সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের দেহ ও ব্যাগ তল্লাশি করে পুলিশ। অন্যান্য যানবাহনের চাপ দেখা গেলেও গুরুত্বর্পূ রোডে যান চলাচল কিছুটা কম লক্ষ্য করা গেছে। পুলিশ বলছেন, তেমন একটা কমেনি যানবাহন। তবে পরিবহন সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দুই বিদেশি নাগরিক হত্যার পর গত কয়েকদিন ধরে সীমান্তবর্তী উপজেলা উখিয়া-টেকনাফে পুলিশের তল্লাশি বেড়ে যায়।
সূত্র জানায়, উখিয়া-টেকনাফে ভুয়া কাগজপত্রসহ বিপুল যানবাহন রাস্তায় চলাচল করে। পুলিশ অভিযানের খবর জেনে ওইসব যানবাহনগুলো রাস্তায় নামায়নি চালক ও মালিকরা। পুলিশের একটি সূত্র জানায়, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে সাধারণ মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে আর নিরাপদে চলাচল করতে পারে সে দিকগুলোও খেয়াল রাখছেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পর্যটন স্পট উখিয়ার ইনানীতে পর্যটন ব্যবসায় রীতিমতো ধস নামতে শুরু করেছে।
ইতোমধ্যে একাধিক পর্যটন ট্যুর অপারেটরকে দেওয়া বিদেশি পর্যটকদের বুকিং বাতিল করা হচ্ছে। বিদেশি নাগরিক হত্যায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।এদিকে আসন্ন দুর্গা-পূজা উপলক্ষ্যে হিন্দু সমপ্রদায়ের লোকজনের মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা কাজ করছে।
এবার উখিয়ায় মোট ৫টি প্রতিমা ও ৮টি ঘট এবং টেকনাফ উপজেলায় ৫টি প্রতিমা পূজামন্ডব স্থাপিত হয়েছে। উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন জানান, এই উৎসব জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের। এ উৎসবে সকলকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে নির্বিঘ্নে পূজা সম্পন্ন করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
You must be logged in to post a comment.