নিজস্ব প্রতিবেদক; কক্সভিউ:
‘পড়বি পড় মালির ঘাড়েই এই চয়নটি আরও একবার সত্যি প্রমাণিত হলো। ডিজিএফআই’র এসআই পরিচয় দিয়ে চাঁদা আদায়কালে এক ভূঁয়া এসআইকে আটক করেছে ডিজিএফআই। ১২ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কক্সবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মুখস্থ জেলা পরিষদ গেইট এলাকা থেকে মুর্শেদ আলম নামের এই ভুঁয়া এসআইকে আটক করে। ধৃত মুর্শেদ নিজকে বিমান বাহিনীর সদস্য দাবি করে। তবে এর সত্যতা পাওয়া যায়নি। সে কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের আবুল ফজলের পুত্র।
চাঁদার শিকার ভুক্তভোগী কক্সবাজার প্রেস ক্লাব মার্কেটের ভাই ভাই ডেকোরেটার্সের মালিক মোহাম্মদ আলম জানান-তাঁর মেয়ে জামাই কলাতলীর রশিদ আহমদ ১০ দিন আগে একটি টমটম কিনে রাস্তায় নামায়। সোমবার টমটমটি শহীদ সরণীতে আসা মাত্র ধৃত মুর্শেদ নিজকে ডিজিএফআই’র এস.আই পরিচয় দিয়ে টমটমটি আটক করে এবং থানায় ঢুকিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ৫’শ টাকা চাঁদা দাবী করে। বিষয়টি রশিদ তাঁর শ্বশুর মোহাম্মদ আলমকে জানায়। পরবর্তীতে আলম সন্দেহবশতঃ বিষয়টি ডিজিএফআই’র সাব ইনস্পেক্টর আনোয়ারকে মুঠোফোনে জানান।
এছাড়া চতুর মোহাম্মদ আলম সন্ধ্যায় তার দোকান থেকে ভূঁয়া এস.আইকে তার দাবির চাঁদার ৫’শ টাকা দেয়ার আশ্বাস দিয়ে টমটমটি ছাড়িয়ে নেন।
কথামতো ভুঁয়া এস.আই মুর্শেদ সন্ধ্যায় সাড়ে ৭টায় চাঁদা নিতে আসলে আগ থেকে উৎপেতে থাকা ডিজিএফআই’র সাব ইন্সপেক্টর আনোয়ার প্রতারক মুর্শেদকে হাতে নাতে আটক করে কক্সবাজার ডিজিএফআই কার্যালয়ে নিয়ে যায়।
এদিকে অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া সাব ইন্সপেক্টর আনোয়ার জানান-ধৃত প্রতারক নিজকে ডিজিএফআই’র এস.আই পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার শহর ও শহরতলীতে চাঁদাবাজি করে আসছিল।
ভুক্তভোগীদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে।
অন্য একটি সূত্র জানায়-ধৃত প্রতারক ডিএসবি অফিস কেন্দ্রীক পাসপোর্টের দালাল হিসেবে চিহ্নিত। মাত্র এক সপ্তাহ করে ডিএসবি কার্যালয়ে ছোট ভাইয়ের পাসপোর্টের বিষয়ে জানতে গিয়ে ধৃত প্রতারকের হাতে নিগৃহীত হন কক্সবাজার শহরের একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ।
You must be logged in to post a comment.