ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দিন তারিখের ঘোষণা না হলেও কক্সবাজারের উখিয়ায় বইছে নির্বাচনী হাওয়া। চায়ের দোকানে, হাট-বাজারে, উঠান বৈঠকসহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের সর্বত্রই এখন চলছে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা। নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও সদস্যপদ প্রার্থীরা নিজ নিজ পাড়া-মহল্লায় নিজেদের প্রচারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উখিয়ার প্রত্যন্ত গ্রাম ও ইউনিয়নে বিরাজ করছে এমন দৃশ্য।
আগামী বছর মার্চ থেকে দেশজুড়ে ধাপে ধাপে ইউনিয়ন পরিষদের ভোট আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। এ লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে দেশের সাড়ে চার হাজার ইউপির হালনাগাদ তালিকা সংগ্রহ করেছে নির্বাচন আয়োজনকারী প্রতিষ্ঠানটি।
এবারের নতুন ভোটাররা ইউপি নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন বলে জানা গেছে নির্বাচন কমিশন সূত্র থেকে। জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদগুলোর মেয়াদ আগামী ২০১৬ সালের মার্চ থেকে জুলাই মাসের মধ্যে পূর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে জানুয়ারি মাসের দিকে তফসিল ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন।
সূত্র থেকে আর ও জানা যায়, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন অনুযায়ী আগের নির্বাচনের পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন করার বিধান রয়েছে। বর্তমানে দেশে ৪ হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। সারাদেশে এ পর্যন্ত আটটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন (১৯৭৩, ১৯৭৭, ১৯৮৩, ১৯৮৮, ১৯৯২, ১৯৯৭, ২০০৩, এবং ২০১১) হয়েছে।
এদিকে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে দুইটি রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প থাকায় রোহিঙ্গাদের তথ্য চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চিঠিতে মন্ত্রণালয়ের কাছে রোহিঙ্গাদের নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, স্বামী/স্ত্রীর নাম, জন্ম তারিখ, ঠিকানা ইত্যাদি তথ্য চাওয়া হয়। একই সাথে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো আরেকটি চিঠিতে সরকারি রেজিষ্ট্রার্ড ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের তালিকা ও তথ্য পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।
এছাড়াও যে সমস্ত এনজিও রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করে, তাদের তালিকা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালককে অন্য আরেকটি চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
You must be logged in to post a comment.