সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / পেকুয়ায় নেতিবাচক সাংবাদিকতার আলোকপাতে গুরুত্ব হারাচ্ছে বস্তুনিষ্ট উন্নয়ন নির্ভর ইতিবাচক সাংবাদিকতার লেখনী-বাড়ছে সংঘাত-হানাহানী-বিভ্রান্তি

পেকুয়ায় নেতিবাচক সাংবাদিকতার আলোকপাতে গুরুত্ব হারাচ্ছে বস্তুনিষ্ট উন্নয়ন নির্ভর ইতিবাচক সাংবাদিকতার লেখনী-বাড়ছে সংঘাত-হানাহানী-বিভ্রান্তি

editor-logo-sk0215215এস.এম.ছগির আহমদ আজগরী; পেকুয়া :

কক্সবাজারের পেকুয়ায় নেতিবাচক সাংবাদিকতার আলোকপাতে গুরুত্ব হারাচ্ছে বস্তুনিষ্ট উন্নয়ন নির্ভর ইতিবাচক সাংবাদিকতার লেখনী। ফলে, প্রত্যন্ত এলাকায় আশংকাজনক হারে বাড়ছে নানা বিরোধ সংঘাত আর হানাহানী বিভ্রান্তি। আর এঘটনায় প্রতিনিয়ত বিপাকে বিভ্রান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সুশীল সমাজ, জনসমাজ প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃস্থানীয়রা সহ স্থানীয় প্রশাসন।

স্থানীয়দের কাছে সংবাদপত্র সমাজের আয়না। সংবাদকর্মীরা জাতির বিবেক হিসাবে পরিচিত। আর এ পেশায় যারা সংশ্লিষ্ট তারা দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেনী পেশার মানুষের কাছেই শ্রদ্ধা ও সমিহের পাত্র।

সংবাদপত্রে গুরুত্ব সহকারে উঠে আসবে এলাকার বিদ্যমান সমস্যা, সংকট, সংশয়ের কথামালা ছাড়াও জনগুরুত্ব বিষয়ের নির্দ্দেশনার কথামালা ও চিত্র। কিন্তু সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা যেন আজকাল দিন দিন ব্যতিক্রম অবস্থানে চলে যাচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে জেলার সংবাদপত্রের সচিত্র সংবাদ প্রতিবেদনগুলোর পর্যালোচনায় দেখা যায়, আজকে পত্রিকায় কোন এক বিষয় নিয়ে ফলাও সচিত্র সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশ ও প্রচার হলোতো পরদিন তার প্রতিবাদ, নিন্দা, ব্যাখ্যা বা উল্টো আকারের সংবাদ লেখনী। যানিয়ে লোকসমাজে জন্ম দিচ্ছে হিংসা, বিদ্বেষ, হানাহানী প্রতিশোধ প্রতিহিংসা চরিতার্থের ঘটনা। শুধু তাই নয়, এক পত্রিকায় সংবাদ ছাপানো হলোতো আরেক পত্রিকায় সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক বা লেখকের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিতের মন্তব্য বক্তব্য ছাড়াই ভিন্ন তথ্যের আলোকপাত। যা দিন দিন মানূষকে করে তুলছে পরস্পর প্রতিপক্ষ। অনেক সময় সমাজের গণ্যমান্য বা নেতৃস্থানীয়দের বক্তব্য গ্রহণ ছাড়াই সংশ্লিষ্টকে জড়িয়ে পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের ঘটনায় লোকসমাজে করা হচ্ছে হেয় প্রতিপন্ন। এসব মানূষের সামাজিক মর্যাদাও করা হচ্ছে নানা ভাবে ভুলুন্ঠিত। এতে খর্ব হচ্ছে মানবাধিকার ও সভ্যতা।

অপরদিকে প্রায় প্রতিদিন পত্র পত্রিকার পাতায় চোখ বুলাতেই লোকজনের নজরে গোচরিভুত হচ্ছে বস্তুনিষ্ট উন্নয়ন নির্ভর ইতিবাচক লেখনীর বদলে নেতিবাচক সাংবাদিকতার আলোকপাত। যার জের ধরে সমাজ সভ্যতায় অস্থিরতা, অসহিষ্ণুতার ভয়াল হিংস্র ইন্দন উস্কানীর কথামালা।

গত এক মাসে জেলার সংবাদপত্রগুলোয় প্রকাশিত পেকুয়ার ঘটনাবলীর সংবাদ প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে যে, হাতে গোনা দু’য়েকটি দায়িত্বশীল সংবাদকর্মী সংশ্লিষ্ট ছাড়া অধিকাংশ পত্র পত্রিকার পাতায় বস্তুনিষ্ট উন্নয়ন নির্ভর ইতিবাচক লেখনীর আলোকপাতই ছিলনা। ছিল শুধু মারামারী, হানাহানী, কাটাকাটি, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, কলহ, বিরোধ বিবাদের অসহিষ্ণু ও উস্কানীমূলক লেখনী। যার জের ধরে এলাকায় বাড়ছে নিত্য নতুন অপরাধ ও নৈতিক অবক্ষয়ের মাত্রা। এধরনের ঘটনায় এলাকার মানুষগুলো অহেতুক ভাবে জড়িয়ে পড়ছে মামলা, দাঙ্গা সংঘাত আর প্রতিশোধ প্রতিহিংসার বেড়াজালে। এলাকার বাস্তবতা খতিয়ে দেখলে যে কারো কাছেই ধরা পড়বে দেশের অন্যতম মডেল উপজেলা পেকুয়া এখনো অনেক সমস্যা সংকট সংশয়ের বৃত্তে বন্দী। জনগুরুত্বপূর্ণ এসব প্রত্যশা পূরনে এলাকার মানুষকে যুগ যুগ ধরে দৌঁড়ঝাপ ও অপচয়ের ঘানি টানতে হচ্ছে।

দেশের পর্যটন নগরী কক্সবাজারের অন্যতম উপজেলা ছাড়াও মডেল উপজেলা হিসাবে পরিচিত এই জনপদের মাটি ও মানুষের প্রাত্যহিক চাহিদা ও প্রত্যাশা পূরনে উন্নয়ন নির্ভর লেখনীর আলোকপাতের প্রয়োজনীয়তা জরুরী হলেও সেটি বেমালুম করে এলাকায় কর্মরত জাতির বিবেক হিসাবে পরিচিত সংবাদকর্মীরা দায়িত্বশীল বস্তুনিষ্ট উন্নয়ন নির্ভর ইতিবাচক লেখনীর বদলে অধিক হারে নেতিবাচক সাংবাদিকতার আলোকপাত ঘটনোয় এলাকার পারিবারিক, সামাজিক ও রাজনৈতিকাঙ্গনে এলাকার মাটি ও মানুষকে এগিয়ে নেয়ার তৎপরতার বদলে দিন দিন একে অপরকে ঘায়েল বিপন্নে মাতছে। জনজিবনে বাড়ছে দূর্বিষহ, উশৃঙ্খলতা, বিশৃঙ্খলা আর অপরাধ প্রবণতা। যা নিয়ে সমাজবোদ্ধা মহল হতাশ ও ক্ষুব্ধ।

অন্যদিকে, পেকুয়ায় দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত রাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্তব্যকালে পান থেকে চুন খসলেই তাদের জড়িয়ে পত্র পত্রিকায় জামায়াত-শিবির বা সরকার বিরোধী মনোভাবাপন্নের তকমা লাগিয়ে ঝেটিয়ে বিদায়ের প্রবণতার মাত্রাও যেন সমানতালেই চলে বলে মন্তব্য করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অধিকাংশ সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী। যা নিয়েও অনেকে সূষম উন্নয়ন অগ্রগতি নিশ্চিত করার চেয়ে ঘা মান বাঁচিয়ে সময় পারের মতো করে চলতে বাধ্য হওয়ায়ও উপেক্ষিত হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন ও সূষম বন্টন ব্যবস্থাপনা।

পেকুয়া থানার ওসি মোঃ আবদুর রকিব এবিষয়ে একমত পোষণ করে বলেন, সবাইকে এধরনের বিষয়গুলো নিয়ে ভাবার ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহনের সময় এসেছে। পেকুয়ার ইউএনও মোঃ মারুফুর রশিদ খান এ লেখার সাথে একমত পোষণ করে বলেন, এখানে আমারা যারা চাকুরি করতে এসেছি তাদের সবাইকে একটি নির্দিষ্ট সময়েরে পর বিদায় নিতে হবে। শত চেষ্টা করেও থাকার সময় সুযোগ তাদের নেই। কিন্তু এখানকার লোকজনদের চিরদিনের জন্য অন্যত্র পাড়ি জমানোর সুযোগ যেহেতু নাই এধরনের বিষয়গুলো নিয়ে এলাকার লোকজনদেরই ভাবতে ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/01/BGB-Rafiq-24-1-23.jpeg

বিপুল পরিমাণ পপিক্ষেত ধ্বংস করল বিজিবি

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম : পার্বত্য জেলা বান্দরবানে থানচি উপজেলা গহীণ অরণ্যে মাদক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/