চট্টগ্রামের বাশঁখালী থেকে অপহৃত চারজন মাছ ব্যবসায়ীর মধ্যে একজনের লাশ উদ্ধার করেছে কক্সবাজারের চকরিয়া থানা পুলিশ। রবিবার সকাল ৭টার দিকে চিরিংগা-বদরখালী-মহেশখালী সড়কের চকরিয়ার বাটাখালী সেতু সংলগ্ন রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার হয় অপহৃত মাছ ব্যবসায়ী মোঃ ইউনুছের লাশ। অপহৃত অপর তিনজনও গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।
নিহত ইউনুছের ছোট ভাই ছালেহ আহমদ ও শ্যালক ফরিদুল আলম বলেন, শনিবার বেলা ২টা থেকে নিখোঁজ হয় বাঁশখালীর শেখেরখিল টেকপাড়ার মোঃ ইউনুছ (৫৭)। তার খোঁজ-খবর নিতে গিয়ে জানা যায় একই এলাকার নজরুল ইসলাম (৩৬), জিয়াউর রহমান (৩৫), নুরুল আবছার (৩৮)ও নিখোঁজ রয়েছে। এদিন রাত ১১টার দিকে ইউনুছ পরিবারের আত্মীয়দের কাছে মুঠোফোনে জানায় তাকে অজানা ব্যক্তিরা অপহরণ করেছে। দেড়লাখ টাকা দিলে মুক্তি দেয়া হবে। টাকা জোগাড় করতে না পারায় ইউনুছকে বাঁশখালী অথবা চকরিয়ার জঙ্গলে হত্যা করে বাটাখালী এলাকায় অপহরণকারীরা ফেলে দেয় বলে শ্যালক ফরিদের দাবী। অন্যদিকে বাঁশখালী থেকে চকরিয়া হয়ে মহেশখালীতে নেয়ার পথে খোদারকুম এলাকায় পৌছলে সিএনজি অটোরিক্সা থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে অপহরণকারীদের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করে নজরুল, জিয়াউর ও আবছার। সিএনজি অটোরিক্সায় অপহৃত চারজন ও অপহরণকারীদলের এক সদস্য থাকলেও পেছন থেকে একটি মাইক্রো (নোয়া) বাসে অপহরণকারী দলের সশস্ত্র ৬-৭ সদস্য অটোরিক্সাকে ফলো করছিলো। অপহৃতদের পূর্বেই চেতনা বিঘ্ন ঘটা কোন ওষুধ খাওয়ান্ইো তাদের সাথে মাত্র একজনকে পাহারায় রেখে অন্যরা পেছন থেকে অনুসরণ করে বলে একাধিক সুত্র জানায়।
এদিকে লাশ উদ্ধার করা চকরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহাদাৎ হোসেন বলেন, উদ্ধার করা মরদেহের মাথা ও কানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। হত্যা নাকি গাড়ি থেকে লাফ দেয়ায় এই আঘাত বলা যাচ্ছে না। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ইউনুছের মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে ময়নাত দন্তের জন্য।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোঃ মাসুদ আলম বলেন, বাঁশখালীর ইউনুছ কোথায় ও কিভাবে মারা গেছে এবং অপহরণকারী কারা সনাক্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে চকরিয়া ও মহেশখালী থানা পুলিশ পৃথক তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি চলছে গ্রেপ্তার অভিযান।
You must be logged in to post a comment.