মুকুল কান্তি দাশ, চকরিয়া :
চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুর এলাকায় বাসে পেট্রলবোমায় নিহত কক্সবাজারের চকরিয়ার দুই যুবকের লাশ ঘটনার সাড়ে নয় মাস পর কবর থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) সকালে চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকার কবরস্থান থেকে ওই দুইজনের লাশ উত্তোলন করা হবে।
২ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক প্রাথমিক সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট নিশ্চিত করতে কবর থেকে লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ৩ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী আইকন পরিবহনের (ঢাকামেট্রো-ব-১৪-৪০-৮০) যাত্রীবাহী বাস চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুর এলাকায় পৌঁছে রাত তিনটা দশ মিনিটে। ওই সময় দুর্বৃত্তরা বাসকে লক্ষ্য করে পেট্রল বোমা ছুঁড়ে মারে। এতে ঘটনাস্থলে ও পরে আটযাত্রী দগ্ধ হয়ে মারা যায়। তৎমধ্যে চকরিয়ার মোহাম্মদ ইউছুফ (৪৬), রাশেদুল ইসলাম (২৫) ও আবু তাহের (৩৫) নিহত হন। এঘটনায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা হয়।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ইব্রাহিম এই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে জটিলতার মুখে পড়েন। ফলে তিনি চকরিয়ায় দাফন করা তিনজনের মধ্যে দুইজন গোবিন্দপুরের আলী আহমদের ছেলে মোহাম্মদ ইউছুফ ও ছৈয়দ আহমদের ছেলে রাশেদুল ইসলামের মরদেহ কবর থেকে তুলে ফের ময়না তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করেন। এরই প্রেক্ষিতে ২ সেপ্টেম্বর তাঁদের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের আদেশ দেন বিচারক।
উক্ত আদেশপত্র কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় পৌঁছলে লাশ উত্তোলনের জন্য কক্সবাজার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে লিখিত আবেদন করেন হারবাং ফাঁড়ির আইসি দেবাশীষ সরকার। এই আবেদন পেয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট লাশ উত্তোলনের দিন তারিখ নির্ধারণ করতে আবেদনটি চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলামের কাছে পাঠান। তিনি ১৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার লাশ উত্তোলনের জন্য তারিখ নির্ধারণ করেন বলে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ প্রভাষ চন্দ্র ধর নিশ্চিত করেন।
You must be logged in to post a comment.