মুকুল কান্তি দাশ, চকরিয়া:
কক্সবাজারের চকরিয়ার ইলিশিয়া জমিলা বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী মরিয়ম বেগম (১৩)। ওই ছাত্রী পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের আবদুল মালেকের মেয়ে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক এই শিশু ছাত্রীর সাথে শুক্রবার সন্ধ্যায় বিয়ের দিন ধার্য্য ছিল পার্বত্য জেলা বান্দরবানের ফাইতং ইউনিয়নের নয়াপাড়ার এক যুবকের সাথে। বিয়ের পূর্বরাতে আয়োজন হয় মেহেদী অনুষ্টানের। কিন্ত বিপত্তি ঘটে বাল্য বিয়ের ঘটনাটি জানাজানি হওয়ায়। খবর পেয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধে উদ্যোগ নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম।
তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্য নেয়ামত উল্লাহসহ তিনজনকে পাঠান মেহেদী অনুষ্ঠানে। তারা ওই অনুষ্ঠানে গিয়ে ইউএনও’র উদ্বৃতি দিয়ে বাল্য বিয়ের সুফল -কুফল ও আইনী সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এতে কনে পক্ষ বিয়ে বন্ধের ঘোষণা দেন। মেহেদী অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে সাজানো গেইটসহ পেন্ডেল খুলে পেলেন।
মুঠোফোনে বরের বাবাকেও জানিয়ে দেয়া হয় অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে বিয়ে দেয়া হবে না। এছাড়া মেয়ের বাবা আবদুল মালেক, বড় ভাই ইছসমাইল ও পাড়ার সর্দার হোসেন আহমদ লালু লিখিত অঙ্গিকার দেন ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী মরিয়মকে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেয়া হবে না। এভাবেই ইউএনও মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম বন্ধ করে দেন ওই ছাত্রীর বিয়ে।
You must be logged in to post a comment.