সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / ফলোআপ… ২৮৮দিন পর চকরিয়ার দুই যুবকের লাশ কবর খুঁড়ে উত্তোলন

ফলোআপ… ২৮৮দিন পর চকরিয়ার দুই যুবকের লাশ কবর খুঁড়ে উত্তোলন

Mukul Chakaria 21.11.15 (news & 1pic) f1মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :

চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুর এলাকায় ৩ ফেব্রুয়ারী বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপে নিহত কক্সবাজারের চকরিয়ার দুই যুবকের লাশ কবর খুঁড়ে উত্তোলন করা হয়েছে। শনিবার সকালে ঘটনার ২৮৮দিন পর (নয় মাস ১৮দিন) পর কবর থেকে ওই লাশ দুটি উত্তোলন করা হয়। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলামের উপস্থিতিতে কবর থেকে তোলা লাশ দুটির হাড়-গোড় (কঙ্কাল) পাওয়া যায়।

কুমিল্লা আদালতের বিচারকের আদেশে কবর থেকে তোলা মো.ইউছুপ ও রাশেদুল ইসলাম বাদশার কঙ্কাল ময়না তদন্ত ও ভিসেরা রির্পোট তৈরী করতে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার সকালে লাশ উত্তোলনের সময় ইউএনও ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সমদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোঃ মাসুদ আলম, চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ প্রভাষ চন্দ্র ধর, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুল আজম, বরইতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এটিএম জিয়া উদ্দিন চৌধুরী জিয়া, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ ইব্রাহীমসহ এলাকার অসংখ্য মানুষ।

এলাকা থেকে সংগ্রহ করা শ্রমিক দিয়ে এবং স্থানীয় মসজিদের ইমামের মাধ্যমে কবর খুড়া হয়। উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকার সামাজিক কবরস্থানের দুটি কবর খুড়ে মোহাম্মদ ইউছুপ ও রাশেদুল ইসলাম বাদশার শরীরের কঙ্কাল উত্তোলন করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, ৩ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী আইকন পরিবহনের (ঢাকামেট্রো-ব-১৪-৪০-৮০) যাত্রীবাহী বাস চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুর এলাকায় পৌঁছে রাত তিনটা দশ মিনিটে। ওই সময় দুর্বৃত্তরা বাসকে লক্ষ্য করে পেট্রল বোমা ছুঁড়ে মারে। এতে ঘটনাস্থলে ও পরে আট যাত্রী দগ্ধ হয়ে মারা যায়। নিহত ব্যক্তিরা হলেন- কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার আবু তাহের, মোহাম্মদ ইউসুফ ও মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম, যশোর সদর উপজেলার নুরুজ্জমান পাপলু ও তাঁর মেয়ে মাইশা, নরসিংদীর পলাশ উপজেলার আসমা বেগম ও তাঁর ছেলে মোঃ শান্ত এবং ঢাকা কাপ্তানবাজারের মোহাম্মদ ওয়াসিম। এর মধ্যে চকরিয়ার তিনজন স্বপ্নের দেশ কাতার পাড়ি দিতে ঢাকা শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে যাচ্ছিলেন।

নিহত আটজনের মধ্যে একমাত্র চকরিয়ার আবু তাহেরের ময়না তদন্ত হয় মারা যাওয়ার পরপরই। অপর সাতজনকে মানবিক কারণে পরিবার সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করলে নিজ নিজ এলাকায় দাফন করা হয় তাদের। ঘটনাটির ব্যাপারে বিপত্তি ঘটে মামলা দায়েরের পর। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাতজনের ময়না তদন্ত রির্পোট না পাওয়ায় চুড়ান্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে পারেননি। এরই প্রেক্ষিতে কুমিল্লা জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ২ সেপ্টম্বর আদেশ দেন সাতজনের লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্ত করতে। ফলে ঘটনার নয় মাস ১৮দিন পর চকরিয়ার দুইজন গৌবিন্দপুরের আলী আহমদের ছেলে মোহাম্মদ ইউছুফ ও ছৈয়দ আহমদের ছেলে রাশেদুল ইসলামের মরদেহ কবর থেকে তোলা হয় ২১ নভেম্বর শনিবার সকালে।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, ১৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার লাশ উত্তোলনের জন্য প্রথম তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিলো। ওই দিন হরতালের কারণে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই মোহাম্মদ ইব্রাহীম উপস্থিত হতে না পারায় লাশ উত্তোলন করা যায়নি। ফলে দ্বিতীয় দফায় দিন ধার্য্য করে শনিবার লাশ উত্তোলন করা হয়। এই লাশ দুটি ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে মামলার আইও হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/01/BGB-Rafiq-24-1-23.jpeg

বিপুল পরিমাণ পপিক্ষেত ধ্বংস করল বিজিবি

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম : পার্বত্য জেলা বান্দরবানে থানচি উপজেলা গহীণ অরণ্যে মাদক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/