ভাগ্যে থাকলে ঠেকায় কে? এমন প্রশ্নের উত্তর অনেক সময় পাওয়া যায়না। এর উত্তর মেলাবে “ভাগ্যকে ঠেকায় টাকা”। আবার অনেকের ক্ষেত্রে ভাগ্যকে টাকায়ও ঠেকাতে পারেনা।
সম্প্রতি কক্সবাজার পৌরশহরে হঠাত্ উড়ে এসে জুড়ে বসা সাফল্যের মুকুটধারী যুবক জিসান উদ্দিন নামটি বেশ আলোচিত। তার উত্থান কি ভাগ্য, না টাকা? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। যোগ্যতায় উঠা আসা, তৃণমূল থেকে উঠা আসা, রাজনৈতিক বা সামাজিকভাবে উঠা আসা, জনপ্রিয়তার কারণে উঠা আসা এমন কথাগুলো জিসানকে নিয়ে তেমন কেউ বলেনা। তাই বলা যায় ভাগ্য বা টাকা জিসানকে সাফল্যের মুকুট পরিয়েছে। এজন্য প্রশ্ন উঠছে টাকায় বা ভাগ্যে উঠে আসা যুবকটি পৌরসভার মেয়র দায়িত্ব পালনে কতটুকু সফল হবে, আদৌ পারবে কিনা। তাছাড়া আ.লীগ ভাবছেন জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়রের দায়িত্ব পালনকালে সরকারের উদ্দেশ্য সাধিত হবে কিনা। আ’লীগের পক্ষ জিসানের পক্ষে সমর্থন করছেনা। তারা চাইছে তাদের দলের কেউ অর্থাত্ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মাবু বা অন্যকেউ মেয়রের দায়িত্বে আসুক।
অন্যদিকে পৌর কাউন্সিলরদের একটি বড় অংশ জিসান দায়িত্বে আসুক তা প্রত্যাশা করছেন না। এ অবস্থায় নানা জল্পনা কল্পনার মধ্য দিয়ে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্বে আসছেন জিসান উদ্দিন।
জিসান পৌরসভার উন্নয়ন, পৌরবাসীর ভাগ্যের পরিবর্তন, সৃষ্টিশীল পরিকল্পিত পর্যটন শহর গড়ে তুলতে পারবেনা বলে পৌরবাসীর অনেকে আগাম হতাশা প্রকাশ করেছেন। জিসানের অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে যাই বলুক সবকিছুকে ছাড়িয়ে জিসান তার নিজস্ব যোগ্যতা দিয়ে হয়েছে কাউন্সিলর, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক, প্যানেল মেয়র-১, এখন অপেক্ষা ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ। কাউন্সিলর হতে প্রচুর টাকা খরচ হয়েছে, প্যানেল মেয়র-১ হতে আরো বেশি টাকা ব্যয় হয়েছে। একইভাবে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদটি নিতে টাকা খরচ হয়। একইভাবে এবারো প্রশ্ন উঠেছে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হতে প্রচুর টাকা খরচ হচ্ছে। যদিও মেয়র সরওয়ার কামালের বরখাস্তের বিষয়টি আইনগত বিষয়। এতে জিসানের কোন হাত ছিলনা। তবে একটি সূত্রে জানা গেছে, ভারপ্রাপ্ত মেয়র পদটির গনেশ উল্টে যেতে পারে যে কোন সময়।
You must be logged in to post a comment.