কক্সবাজার সদর উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাঁও এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জে চলতি মৌসুমে আমন ধান কর্তনে স্থানীয় শ্রমিকদের কদর নেই। তার পাশাপাশি ভিন্ন এলাকার শ্রমিকদের কদর চোখে পড়ার মত। এতে করে বিপাকে পড়েছে স্থানীয় শ্রমিকরা।
জানা যায়, বৃহত্তর ঈদগাঁও তথা ছয় ইউনিয়ন- ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ, পোকখালী, চৌফলদন্ডী ও ঈদগাঁওয়ের প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জের কৃষি জমির চলতি আমন ধান কর্তনে স্থানীয় শ্রমিকদের মূল্যায়ন হচ্ছে না। তার স্থলে ভিন্ন এলাকার শ্রমিকরাই মুল্যায়িত হচ্ছে বেশি। যার কারণ হচ্ছে স্থানীয়রা অর্থের দিক দিয়ে বেশি চাপাচাপি করে আর ভিন্ন এলাকার শ্রমিকরা একটি দর দিয়ে বসে থাকে। এমনকি এখানকার শ্রমিকরা এসব আমন ধান কর্তনে তাদের মজুরী হিসাবে নিচ্ছে দৈনিক চারশত টাকা। আর বৃহত্তর ঈদগাঁওর বাইরের শ্রমিকরা সেখানে মজুরী নিচ্ছে সাড়ে তিনশত টাকা।
এ নিয়ে অনেক চাষীরা মজুরীর ক্ষেত্রে যেসব শ্রমিকের দাম সস্তা, সেসব শ্রমিক দিয়ে কাজ করাচ্ছে। এদিকে জেলা সদরের বহুল আলোচিত বাণিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারের সাবেক বটগাছ তলা নামক স্থানে দেখা যায়, দেশীয় শ্রমিক না থাকলেও ভিন্ন এলাকার শ্রমিকদের দখলে জায়গাটি। কিন্তু সেখানে টেকনাফের নানা গ্রামগঞ্জ আর উখিয়ার মরিচ্যা, হ্নীলাসহ বিভিন্ন এলাকা ও রামুর চা বাগান, কলঘর বাজার, ফতেখার কুলসহ নানা স্থানের, আবার ঈদগড়, রশিদ নগর, বাইশারী-নাইক্ষ্যংছড়ি, খুটাখালী, ডুলাহাজারা, মালুমঘাটসহ নানা দূরবর্তী এলাকা থেকে এসে বৃহত্তর এলাকায় তারা শ্রমিকের কাজে নিয়োজিত। আর এতে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে স্থানীয় অসহায় শ্রমিকরা। তবে এলাকার সচেতন মহলের মতে, দেশীয় শ্রমিক দেখা না গেলেও ভিন্ন এলাকার শ্রমিকদের মজুরী কাজে যত্রতত্র স্থানে দেখা মেলে। আবার বেশ ক’জন এলাকার শ্রমিকদের মতে, আমরা বাজারে আসলেও চাষীরা আমাদের নিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে। এ নিয়ে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম দূর্বিসহ অবস্থায় জীবন যাপন করছি।
You must be logged in to post a comment.