দীপক শর্মা দীপু; কক্সভিউ :
কক্সবাজারের রামুতে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে আওয়ামীলীগের রাজনীতি। প্রার্থী মনোনয়নকে কেন্দ্র করে উত্তাপ ছড়াচ্ছে আওয়ামীলীগ পরিবারে। রামুর আওয়ামীলীগে সেই দু’ভাইয়ের গ্রুপিং প্রকাশ পেয়েছে মনোনয়ন। কোন প্রার্থী জিতবে কোন প্রার্থী জিতবেনা সেটা মূখ্য বিষয় নয় কাজল-কমল দু’ভাইয়ের মধ্যে কে জিতবে সেটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর দু’ভাইয়ের গ্রুপিং এর কষাঘাতে পড়ে তৃণমূল পর্যায়ের জনপ্রিয় প্রার্থীরা বাদ পড়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে অখ্যাত ও জনপ্রিয়তা নেই এমন ব্যক্তিরা টিকেট পাচ্ছে নৌকার। রামুতে নৌকাকে জিতানোর চেয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থকে জিতানো বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে এমন বক্তব্য সাধারণ নেতাকর্মীদের।
রামু উপজেলার ১১ ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়নের লক্ষে উপজেলা আওয়ামীলীগের ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে উপস্থিত সর্বসম্মতিক্রমে বিভিন্ন ইউনিয়নে নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য বিভিন্ন সম্ভাব্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে। এদিকে উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভার সিদ্ধান্তকে মনগড়া সিদ্ধান্ত হিসেবে আখ্যায়িত করে রামু আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ ১৯ জন সম্ভাব্য প্রার্থী অবস্থান নিয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান রামু উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রিয়াজ উল আলমের উপস্থিতিতে ৩০ মার্চ কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন বলা হয়, ১১ ইউনিয়নে জনপ্রিয় ও মনোনয়ন লাভ করলে যাদের সহজে দলীয় প্রতীকে বিজয় নিশ্চিত তাদেরকে বাদ দেয়া হচ্ছে। তুলনামূলকভাবে অজনপ্রিয়, জনবিচ্ছিন্ন ও অর্থশালী ব্যক্তিদেরকে তথাকথিত মনোনয়নের নামে বাণিজ্য করা হচ্ছে। বিএনপি জামায়াতের সাথে গোপন আঁতাত করে উপজেলা আ’লীগের বহু বছরের বিতর্কিত কাজল মন্ডল কমিটি প্রকৃত আওয়ামীলীগ পরিবারের মতামত না নিয়ে পকেট কমিটির নাম সর্বস্ব লোকজন নিয়ে তৃণমূলের মতামতের নামে নাটক সাজানো হচ্ছে। ১১ ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীগণ দাবী করেন মাঠ জরিপ করে সহজে জয়ী হতে পারে এমন জনপ্রিয় ও যোগ্য প্রার্থী মনোনয়নে জেলা আওয়ামীলীগ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। সংবাদ সম্মেলনে আরো জানান, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার ইউনিয়ন সমূহের বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে আওয়ামীলীগের জনপ্রিয় মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকা সত্বেও তাদেরকে ইউনিয়নের বর্ধিত সভায় ডাকা হচ্ছেনা। যারা জীবনে আওয়ামীলীগ রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলনা তাদেরকে কাউন্সিলর বানিয়ে নাটকীয়ভাবে এসব অযোগ্য জনবিচ্ছিন্ন লোকদেরকে প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হচ্ছে।
এব্যাপারে রামু উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সোহেল সরওয়ার কাজল বলেন, ইউনিয়ন ভিত্তিক বর্ধিত সভা করে গণতান্ত্রিক উপায়ে প্রার্থীতা নির্বাচন করা হচ্ছে। উপজেলা আওয়ামীলীগের একক সুপারিশে প্রার্থী বাছাই হয়না। কেন্দ্র নির্দেশনা অনুযায়ী ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা আওয়ামীলীগের যৌথ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। এতে আমার একক সুপারিশের মাধ্যমে প্রার্থীতা ঘোষণা করার সুযোগ নেই।
এদিকে রামু আওয়ামীলীগের সাধারণ নেতাকর্মী ও ভোটাররা সোহেল কমল দু’ভাইয়ের দ্বন্দ্বের কারণে প্রার্থীতা বাছাইয়ে যোগ্য প্রার্থী বাছাই না করে পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে। এর কারণে রামুতে নৌকা প্রতীকের ভরাডুবির আশংকা করা হচ্ছে।
You must be logged in to post a comment.