পর্যটকদের কাছে সাবেক যুগোস্লাভিয়ার আকর্ষণ ছিল। যুগোস্লাভিয়া ভেঙে অনেকগুলো স্বাধীন রাষ্ট্র হয়। তার মধ্যে অন্যতম সার্বিয়া। সার্বিয়া থেকে ২০০৬ সালে আলাদা হয়ে যায় মন্টেনেগ্রো। নতুন এই দেশটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর। সেখানে বিস্ময়কর জিনিসেরও অভাব নেই। যেমন বিস্ময় তৈরি করেছে ষে দেশের একটি জলপাই গাছ।
সেটি যেনতেন জলপাই গাছ নয়। ২ হাজার বছর বয়স তার। মন্টেনেগ্রোর বার শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে মিরোভিকা নামক স্থানে বিস্ময়করভাবে গাছটি আজও বেঁচে আছে। মিরোভিকার এই জলপাই গাছটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক গাছের একটি বলে দাবি করা হয়। অবশ্য জীবিত সবচেয়ে বয়স্ক গাছের তালিকায়ও রয়েছে এটি। এবং বিশ্বাস করা হয়, ইউরোপের সবচেয়ে বয়স্ক গাছ মিরোভিকার এই জলপাই গাছ।
ধারণা করা হয় গাছটির বয়স ইতিমধ্যে ২ হাজার বছর পেরিয়ে গেছে। গাছটি প্রাকৃতিক অঙ্গসংস্থান, সৌন্দর্য, আকর্ষণ, ইতিহাস এবং ব্যতিক্রমধর্মী প্রাকৃতিক স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে খুব গুরুত্ব পাচ্ছে। আর সে কারণেই দেশটির ১৯৫৭ সালের আইন অনুযায়ী এটিকে রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে। অবশ্য দেশটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষণাবেক্ষণেরও আইন রয়েছে। কোনোক্রমেই বন ধ্বংস করা যাবে না। নষ্ট করা যাবে না প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য।
দীর্ঘজীবি চিরসবুজ এই গাছটিকে মন্টেনেগ্রোর সকল জলপাই গাছের ‘মা’ বলা হয়ে থাকে। সে কারণে দেশটির সকল জলপাই গাছ এই গাছটির শ্রেণিভূক্ত। সাধারণত জলপাই গাছ খুব বেশি বড় হয় না। কিন্তু মিরোভিকার এই গাছটি ১০ মিটার মোটা। যেটার শাখা-প্রশাখা বেশ প্রশস্ত।
মূল গাছের পাশ দিয়ে বেশ কয়েকটি ছোট ছোট শাখা বেরিয়েছে। যেগুলো দেখতে ছোট জলপাই গাছের মতো। কা-ের শুরুর দিকের পাতা হালকা সবুজ। আর মাথার পাতা ধূসর রঙের। মূলত এই গাছটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর বয়স পর্যটককে মিরোভিকায় টেনে আনে। প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটক মন্টেনেগ্রোতে বেড়াতে আসেন। তাদের মধ্যে খুব কম পর্যটকই এই গাছটিকে দেখার সুযোগ মিস করেন।
গাছটির আশেপাশে কয়েক দশকে আরো অনেক জলপাই গাছ রোপণ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ২ হাজার বছর বয়সী গাছটির আশেপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও মানুষকে মুগ্ধ করে।
সূত্র:risingbd.com, ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.