মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা :
অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ পৃথিবীর দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত। প্রায়ই মাঝারি থেকে বড় ধরনের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠছে এ অঞ্চল। সাম্প্রতিক সময়ে বজ্রপাতে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বজ্রপাতকেও দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টেল টু লিভ’ যার ভাবার্থ ‘দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে হলে, কৌশলসমূহ বলতে হবে’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সারাদেশের ন্যায় বান্দরবানের লামায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস।
আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসের র্যালী ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদ মাহমুদ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন সেলিম, ফায়ার সার্ভিস, এনজিও একতা মহিলা সমিতি, কারিতাস, ব্র্যাক ও গ্রাউস এর প্রতিনিধি সহ বিভিন্ন স্কুল কলেজ মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদ মাহমুদ বলেন, দুর্যোগকে প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়, তবে আগাম বার্তা ও সম্মিলিত উদ্যোগে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি বহুলাংশে হ্রাস করা সম্ভব। দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন অনেক সমর্থ। দুর্যোগ ঝুঁকি তথা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ কর্তৃক ‘চ্যাম্পিয়ন অব্ দ্য আর্থ’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে ১ জুলাই ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)-কে নতুন আঙ্গিকে প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও সরকার সিপিপিকে যৌথ কর্মসূচি হিসেবে গ্রহণ করে দেশের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে একটি অনন্য মাইলফলক স্থাপন করে। দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশের গৃহীত কার্যক্রম এবং স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় জনসাধারণের অংশগ্রহণমূলক সংস্কৃতি সারা বিশ্বে এ দেশকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ‘রোল মডেল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
You must be logged in to post a comment.