মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
চকরিয়ায় ভুঁয়া ডিবি পরিচয় দিয়ে দুই মহিলার দেহ তল্লাশি এবং অপহরণের অভিযোগে চারজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার আনোয়ারা বেগম বাদি হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত আরো একজনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। থানার এসআই মোহাম্মদ মহির উদ্দিন খান উজ্জলকে ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।
আটককৃত ভুয়া ডিবি পুলিশ দেলোয়ার হোসেন (২৫) কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের লিংক রোডস্থ মুহুরী পাড়ার মোহাম্মদ হাসানের ছেলে। পালিয়ে যাওয়া তিনজনের মধ্যে টেকনাফের গিয়াস উদ্দিন ও চকরিয়ার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের শিকলঘাট এলাকার ওসমান গণি প্রকাশ দাদা ওসমান এবং অপর একজন অজ্ঞাত। এই চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে বলে ওসি মো.জহিরুল ইসলাম খান নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনার শিকার দুই মহিলা হলেন- জেলার টেকনাফ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের ইসলামাবাদ পল্লানপাড়ার মাস্টার বশিুরুল ইসলামের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৩২) ও তার ছোট বোন ৪নং ওয়ার্ডের আবদুল হকের স্ত্রী শামসুন্নাহার (২৮)।
চকরিয়া থানার পুলিশ এসআই মোহাম্মদ মহির উদ্দিন খান উজ্জল বলেন, ঘটনার শিকার দুই মহিলা সোমবার রাতে চিকিৎসার জন্য মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রীষ্ট্রান হাসপাতালে আসে। তারা গাড়ি থেকে নেমে হাসপাতাল সংলগ্ন যাত্রী ছাউনিতে অবস্থান করছিল। এসময় প্রাইভেট কারে করে আসা ৩-৪ জন যুবক নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে দুই মহিলার কাছে ইয়াবা আছে দাবি করে দেহ ও ব্যাগ তল্লাশি করে এবং এক পর্যায়ে তাদেও টেনে-হেছড়ে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে। এসময় তাদের শোর-চিৎকারে স্থানীয় জনতা এগিয়ে আসে এবং ভুঁয়া ডিবি পুলিশকে পরিচয়পত্র দেখাতে বলে। তারা পরিচয়পত্র দেখাতে না পারায় স্থানীয় জনতা তাদের ধরে গণপিটুনি দেয়। এসময় তিন ভুঁয়া ডিবি পুলিশ কৌশলে পালিয়ে গেলেও অপর ভুঁয়া ডিবি পুলিশ দেলোয়ারকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে জনতা। এসময় দুই মহিলাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
চকরিয়া থানার ওসি মো.জহিরুল ইসলাম খান বলেন, ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে দুই মহিলাকে তল্লাশি এবং অপহরণ চেষ্টার ঘটনায় আনোয়ারা বেগম বাদি হয়ে আটক দেলোয়ার ও পালিয়ে যাওয়া দাদা ওসমানসহ চারজনকে আসামী করে সংশ্লিষ্ট আইনে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং পলাতকদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
You must be logged in to post a comment.