মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
রানু বেগম (৫০)। চকরিয়া উপজেলার কোণাখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইসমাইলের স্ত্রী। ৩ ছেলে ও ২ মেয়ের সংসার। বাবা ও ছেলেরা পরের জমিতে কৃষি কাজ করে। রানু বেগম ও তার দুই মেয়ে বাড়ির কাজ করে কোন রকমে সংসার চালাচ্ছে। কষ্ট করে সংসার চালালেও জমি কেনার সক্ষমতা নেই। দীর্ঘদিন ধরে তারা সরকারী খাস জমিতে ঘর বেঁধে থাকলোও চিন্তায় ছিল কখন ঘরটি ভেঙ্গে দেন। কিন্তু সেই চিন্তাটা দূর করলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোন রকমের টাকা-পয়সা ছাড়া যে খাস জমি পাওয়া যায় সেটা আজকে এখানে এসে বুঝতে পারলাম। সোমবার দুপুর দেড়টায় চকরিয়া উপজেলা ভূমি অফিস কার্যালয়ে খাস জমির দলিল নিতে এসে কথাগুলো বলছিলেন তিনি।
চকরিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও খাস জমি বন্দোবস্তি কমিটির সদস্য সচিব মো.দিদারুল আলম বলেন, উপজেলার কোণাখালী ইউনিয়নের ৪৮ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে কৃষি খাস জমি বন্দোবস্তি দেয়া হয়েছে। ৪৮টি পরিবারের মাঝে মোট ৬একর ১৮ শতক জমি বন্দোবস্তি দেয়া হয়। এসব জমি পেতে ওইসব পরিবারকে একটি টাকাও সরকারকে দিতে হয়নি। জমি রেজিস্ট্রিতে শুধুমাত্র ১’শ টাকা খরচ করতে হয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও খাস জমি বন্দোবস্তি কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম বলেন, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের সহায়তায় এক বছর যাচাই-বাছাই শেষে উপজেলা কোণাখালী ইউনিয়নের ৪৮ ভূমিহীন হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে কৃষি খাস জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত ইচ্ছা ছিল দেশে যাতে কোন পরিবার ভূমিহীন না থাকে। সেজন্য প্রতিটি ইউনিয়নের খাস জমি খুঁজে বের করে ওইসব জমিতে ভূমিহীন পরিবারদের মাঝে ভাগ করে বরাদ্দ দেয়া হবে।
এসময় কৃষি খাস জমির দলির হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ভূমি অফিসের কানুনগো শান্তি বসু চাকমা, প্রধান সহকারী মিলন বড়ুয়া, নাজির তপন কান্তি পালসহ স্থানীয় সাংবাদিক এবং এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
You must be logged in to post a comment.