মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
মীর কাশেম। কক্সবাজার সদরের নাজিরার টেক এলাকার নুরুল আলমের ছেলে। পেশায় একজন ট্রাক চালক। কক্সবাজার থেকে ভাড়ায় মাল বোঝাই করে পেকুয়া হয়ে চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন। গাড়িটি পেকুয়ার চৌমুহনী এলাকায় পৌঁছলে সড়কে ডিউটিরত পেকুয়া থানার এসআই তৌহিদুল ইসলামের গায়ে লাগে বলে অজুহাত তুলে। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে চালককে মারধর করতে চায়। পরে হাতজোড় করে ক্ষমা চায় চালক কাশেম। কিন্তু কে শোনে কার কথা। শেষে ওই দাপটে এসআই তৌহিদ চালককে গাড়ি থেকে নামিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মাঝ রাস্তার উপর দাঁড় করিয়ে কান ধরে সিজদা দিতে বাধ্য করে শত শত লোকের সামনে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার চৌমুহনী স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় বইছে।
ভুক্তভোগী চালক মীর কাশেম বলেন, “কক্সবাজার থেকে মালবোঝাই ট্রাক গাড়ি নিয়ে চট্টগ্রামে যাচ্ছিলাম, পথিমধ্যে পেকুয়া চৌমুহনী এলাকায় আমাকে পিছন থেকে ডাক দিয়ে গাড়ি থামায় এক লোক, কাছে আসতেই দেখলাম তিনি পুলিশের লোক। পুলিশ দেখে আমি গাড়ি থেকে নামতেই তার গায়ে গাড়ি লাগার অজুহাতে আমাকে কান ধরে সিজদার নির্দেশ দেয়। এতে আমি আপত্তি করলে তিনি অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আমাকে শত শত মানুষের সামনে কান ধরিয়ে রাস্তার মাঝখানে সিজদা করায়। এ ঘটনার আমি সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।”
স্থানীয় লোকজন জানায়, এসআই তৌহিদুল ইসলাম পেকুয়া থানায় যোগদানের পর থেকে একের একের পর এক বিতর্কিত কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে আসামী ছেড়ে দেয়া, বিভিন্ন যানবাহন থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে। তাকে নিয়ে থানার অন্য পুলিশও বিব্রত বোধ করে।
এসআই তৌহিদুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, “ভাই সারাদিন ডিউটি করি মাথা ঠান্ডা রাখতে পারি নাই। আমার ভুল হইছে। একটু দেইখেন ভাই।”
এব্যাপারে জানতে পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনজুর কাদের মজুমদার বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাটি সম্পর্কে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
You must be logged in to post a comment.