মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
কক্সবাজারের পেকুয়ায় একটি বেসরকারী হাসপাতালে রহস্যময় গোপন বৈঠক চলাকালে জনতা ঘেরাও করে উপজেলা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী আবদুল মজিদ আরমনাকে পাকড়াও করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। আজ সোমবার বিকাল ৪টার দিকে আটক করা হয় আরমনাকে। এসময় ওই বৈঠকে উপস্থিত আরো ৮-৯জন ছাড়াও হাসপাতালের চিকিৎসক-কর্মচারীরা পালিয়ে যায়।
পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কপিল উদ্দিন বাহাদুর বলেন, পেকুয়া সদরের পানবাজার রোডস্থ প্যান ইসলামিক হাসপাতালের একটি কক্ষে জামাত-শিবিরের ৮-৯জন নেতা গোপন বৈঠক করছিল। শান্ত পেকুয়াকে অশান্ত করার উদ্যোশে ও রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকান্ড পরিচালনার লক্ষ্যে বৈঠক হচ্ছে খবর পেয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীসহ স্থানীয় লোকজন ওই প্রাইভেট হাসপাতাল ঘেরাও করি। এসময় বৈঠকে উপস্থিত বেশিরভাগ লোকসহ হাসপাতালের ডাক্তার-কর্মচারীরা পালিয়ে যায়। হাসপাতালের ভেতর থেকে পাকড়াও করি উপজেলা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী আবদুল মজিদ আরমানকে। পরে থানার এসআই মাহামুদ উল্লাহ পুলিশ ফোর্স নিয়ে এসে শিবির নেতাকে থানায় নিয়ে যায়। উপজেলা টইটং ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের হোসাইনের ছেলে আবদুল মজিদ আরমান নিজের সঠিক নাম নিয়ে লোকচুরি করে। প্রথমে তার নাম একবার মতিন ও আরেকবার মুজিব বললেও পরে তার নাম আরমান বলে জানায়।
কিন্তু স্থানীয় মাদ্রাসার কয়েকজন ছাত্র নিশ্চিত করেছে আটক ছাত্রশিবির সেক্রেটারীর নাম আবদুল মজিদ আরমান।
এব্যাপারে জানতে চাইলে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজ ভুইয়া বলেন, একজন ছেলেকে পাকড়াও করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। তার অপরাধ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
You must be logged in to post a comment.