মাদক-সন্ত্রাস ও ডাকাত মুক্ত করা হবে
মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
পূর্বে পাহাড়ি অরণ্য পশ্চিমে সাগর। মাঝখানে লবণ মাঠ ও মৎস্য ঘেরসহ আবাদি জমি। রয়েছে বসতি ছাড়াও অফিস-আদালত এবং বিপনী কেন্দ্র। এই চিত্র পর্যটন জেলা কক্সবাজারের দেড় হাজার বছরের পুরনো চকরিয়া উপজেলার। সময়ের দাবিতে বিভক্তির পরও একটি পৌরসভা ও ১৮টি ইউনিয়নে ৫ লক্ষাধিক মানুষের বাস। এই বিপুল মানুষকে আইনশৃঙ্খলায় রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে দিতে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন নবাগত অফিসার ইনচার্জ বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী।
ওসি বখতিয়ার চৌধুরী বলেন, বিচার প্রার্থী মানুষ সরাসরি যোগাযোগ করবে অফিসারদের সাথে। কোন দালালকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া হবেনা থানায়। মধ্যসত্বভোগী ফেলেই আটক করা হবে। উপজেলার শহুরেসহ গ্রামীন জনপদে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশের একাধিক টিম দিবারাত্রী অভিযানে থাকবে।
ওসি আরো বলেন, থানায় পুলিশে পর্যাপ্ত জনবল না থাকলেও জনপ্রতিনিধিদের সহায়তা নিয়ে প্রতিটি এলাকার অপরাধীদের তালিকা প্রণয়ন পূর্বক তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। পেইন্ডিং ওয়ারেন্ট তামিলে ঝটিকা অভিযান শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। জনগণকে স্বস্তিতে রাখতে থানায় আরো ফোর্স বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হচ্ছে। সংকট রয়েছে পরিবহণেও। থানার ফটকসহ আবাসন সংস্কার শুরু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিচারপ্রার্থী কোন ব্যক্তি পুলিশের পক্ষ থেকে কোনভাবেই হয়রানির শিকার হবেনা। তবুও কেউ হয়রানির মুখে পড়লে সুনিদিষ্ট অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে। থানার অফিসারদের ইউনিয়ন ভিত্তিক দায়িত্ব দেয়া হয়েছে অপরাধ দমনে। দায়িত্বে কেউ অবহেলা করলে সহ্য করা হবেনা।
ওসি বখতিয়ার চৌধুরী দৃঢ় কন্ঠে বলেন, চকরিয়ায়কে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত করা হবে। চোর-ডাকাত-ছিনতাইকারীর স্থান হবেনা এই উপজেলায়। থানার অফিসারদের নিয়ে সাপ্তাহিক জবাবদিহিতামূলক বৈঠক হবে। এতে অতীত পর্যালোচনার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ করনীয় নিয়ে নির্দেশনা দেয়া হবে। যেকোন উপায়ে পুরো উপজেলাকে অপরাধমুক্ত করে চকরিয়াকে আদর্শ থানায় রুপান্তর করা হবে।
You must be logged in to post a comment.