এম আবু হেনা সাগর;, ঈদগাঁও :
দিন ধরে বৃষ্টিপাতে জনজীবনে স্বস্তি বিরাজ করলেও বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে ঈদগাঁওবাসী। এই নিয়ে বিপাকে পড়েছে ব্যবসায়ী সহ গ্রামাঞ্চলের বিদ্যুৎ সুবিধাভোগী মানুষজন। আবার বৃহত্তর এলাকার অসংখ্য মোবাইল ব্যবহারকারীরা মাথায় হাত দিয়েছে। বৃষ্টিপাত আর প্রচন্ড বাতাসের ফলে বৈদ্যুতিক তারের সমস্যা হয়েছেন বলে জানান খোদ ঈদগাঁও পবিস কর্তৃপক্ষ।
বৃহত্তর ঈদগাঁও তথা ছয় ইউনিয়নের প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলে সম্প্রতি মুষলধারে বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি বাতাসের কারণে গ্রামাঞ্চলের বৈদ্যুতিক তারের সমস্যা হওয়ার কারণে ২২ এপ্রিল বিকেলের পর থেকেই সারারাত ব্যাপীসহ ২৩ এপ্রিল সকাল বেলা পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে ঈদগাঁওবাজার সহ পাড়া গ্রাম।
এদিকে বিদ্যুতের এহেন অবস্থার কারণে বিভিন্ন শিক্ষাঙ্গণের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার দারুণ ব্যাঘাত ঘটছে। অন্যদিকে বিদ্যুৎতের লোডশেডিং কিংবা সমস্যার ফলে না থাকায় ঈদগাঁওবাসী বিকল্প চিন্তা হিসেবে কুপিবাতি বেঁছে নিয়েছে। বিশেষ করে সন্ধ্যায় লোডশেডিং ও বেড়ে যায়। গ্রামাঞ্চলের বিদ্যুৎ সুবিধাভোগী লোকজনের মতে, বৃহত্তর ঈদগাঁও এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ যদি কাটা ছেড়া তারের পরিবর্তে নতুন তার দিয়ে লাইন টাঙ্গাতো তাহলেই এহেন অবস্থা সৃষ্টি হতো না। তারা অতিসত্বর পবিস কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জোর দাবী ও জানান।
আবার ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী সহ সর্বশ্রেণী পেশার মানুষজন কোনভাবে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। এদিকে ব্যবসায়ীরা বিদ্যুৎতের বিকল্প জেনারেটরের মাধ্যমেও যেন ব্যবসা হচ্ছে না।
ঈদগাঁওর কয়েক ব্যবসায়ীর মতে, বিদ্যুতের লোডশেডিং তথা সমস্যায় বন্ধ থাকলে ব্যবসা-বাণিজ্য অনেকটা থমকে যায়। দেখা যায়, দক্ষিণ চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ ঈদগাঁও বাজারের করুণ দশা এখন বিদ্যুতের।
সচেতন ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর মতে, কক্সবাজার গোটা জেলা হতে এ ঈদগাঁও থেকে সরকারের কোষাগারে মোটা অংকের অর্থ জমা হয়ে থাকে। অথচ উন্নয়নের ক্ষেত্রে একেবারে পিছনে বললেই চলে এ ঈদগাঁও। আবার বৃহত্তর এলাকার গ্রামাঞ্চলে ২/১ দিন বিদ্যুৎ না থাকলে বাসাবাড়ীর ফ্রিজে রক্ষিত মাছ, মাংসসহ অপরাপর খাদ্য দ্রব্য নষ্ট হয়ে যায় বলে জানান গৃহবধূরা।
অপরদিকে হাসপাতালের ফ্রিজে রক্ষিত দামী ইনজেকশনসহ ঔষধপত্রাদিও নষ্টের দিকে ধাবিত হয় বলেও জানা যায়। এমনকি সাধারণ মানুষের নানা কাজে কর্মে ব্যাঘাত ঘটার পাশাপাশি কম্পিউটার, ফটোকপিসহ বৈদ্যুতিক ব্যবহার্য কাজকর্ম থমকে যাচ্ছে। সচেতন গ্রাহকদের মতে, পবিস কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎতের লোকশেডিংয়ের পাশাপাশি মাসের মধ্য বেশকিছু দিন বিদ্যুতের নানান সমস্যা দেখা দিলেও তবুও গ্রাহকদের কাছ থেকে দ্বিগুণ বিদ্যুৎ বিল নিচ্ছে। এ দু’সমস্যায় জর্জরিত বৃহত্তর এলাকার পবিসের গ্রাহকরা। হাজার হাজার শিক্ষার্থী লেখাপড়ার কথা আর ফ্রিজে রক্ষিত খাদ্যদ্রব্যসহ দামী ঔষধ পত্রাদির দিকে বিবেচনা করে অবিলম্বে ঈদগাঁওতে উন্নতমানের তার দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ সৃষ্টি সহ লোডশেডিংমুক্ত রাখার দাবী জানান।
অন্যদিকে ঈদগাঁও পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের জি.এমের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বাতাস আর বৃষ্টির কারণে লাইনে সমস্যা দেখা দিয়েছে তা দ্রুত ঠিক করে বৈদ্যুতিক লাইন চালু করা হবে বলে জানান।
You must be logged in to post a comment.