মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টি থামায় মাতামুহুরী নদীতে কমেছে বানের পানি। কিন্তু ছড়াখাল ভরাট থাকায় পানি নামতে না পেরে ভয়াবহ জলাবদ্ধতায় কক্সবাজারের চকরিয়ায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। ২০টির বেশি পাড়ার লোকজন যোগাযোগে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক পানির নিচে তলিয়ে থাকায়। ৬টি ইউনিয়নে এঅবস্থার সৃষ্টি। এসব এলাকায় উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন বুধবার ত্রাণ বিতরণ করেছে। পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে জলাবদ্ধতা দুরিকরণে।
সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বরইতলী ইউনিয়নের ডেইঙ্গাকাটা, গোবিন্দপুর, জেলে পাড়া, হারবাং,পহরচাঁদা, কাকারার উত্তর পাড়া, পূর্ব পাড়া, চরপাড়া, লক্ষ্যারচরের উত্তর লক্ষ্যারচর, জহির পাড়া, মাঝেরপাড়া, কৈয়ারবিলের খোঁজাখালী, হাসিমাকাটা ও চিরিংগার ১, ৩ ও ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জলাবদ্ধতার কারণে পানিবন্দি রয়েছে।
কাকারা ও লক্ষ্যারচর ইউপি চেয়ারম্যান শওকত ওসমান ও গোলাম মোস্তাফা কাইছার অভিন্ন বক্তব্যে বলেন, বাইশ্যারছড়া ও নলবিলা খাল দুটি খনন করা হলে নলবিলা বিলের চর্তুপাশ্বের অন্তত হাজারো পরিবার জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে।
হারবাং ও বরইতলী ইউপি চেয়ারম্যান মো.মিরানুল ইসলাম ও জালাল আহমদ সিকদার বলেন, হারবাং ছড়াখাল ও সোনাইছড়ি খাল খনন হলে এই খাল দুটির নিকটবর্তী বাসিন্দারা দীর্ঘস্থায়ী পানি সমস্যা থেকে রক্ষা পাবে। কৈয়ারবিল ইউনিয়নের গ্রামীণ ছড়াগুলো খনন করা হলে পানি জমে থাকবেনা বলে চেয়ারম্যান মক্কী ইকবাল হোছন জানান।
চিরিংগা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জসিম উদ্দিন বলেন, চিংড়ি ঘেরে অপরিকল্পিত বাঁধের কারণে বৃষ্টির পানি বের হতে না পারায় দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষকে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম বলেন, বন্যা ও জলাবদ্ধতায় পানিবন্দি ৬ ইউনিয়নের পরিবারগুলোর খাবার সমস্যা দূর করতে প্রাথমিকভাবে সরকারের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসন ৫টন ও উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আলম ৬টন চাউল বরাদ্দ দিয়েছেন। এসব চাউল পানিবন্দি পরিবারগুলোকে ৫ থেকে ১০ কেজি করে বিতরণ করা হচ্ছে।
ইউএনও আরো বলেন, বুধবার হারবাং ও বরইতলীতে আমি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সরজমিন গিয়ে পানিবন্দি পরিবারে চাউল বিতরণ করেছি। কাকারা, লক্ষ্যারচর ও চিরিংগা ইউনিয়নে স্ব-স্ব এলাকার চেয়ারম্যানের মাধ্যমে চাউল বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার কৈয়ারবিল ইউনিয়নে বিতরণ করা হবে চাউল।
চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আলম বলেন, জলাবদ্ধতা ও ঢলে প্লাবিত মানুষকে ত্রাণ নির্ভর না করে স্থায়ী সমাধান দিতে অচিরেই গ্রামীণ ছড়াখাল খননের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ঢলে ভেঙ্গে যাওয়া ও খানা-খন্দক সৃষ্টি হওয়া কাঁচাপাকা সড়কগুলো দ্রুত নির্মাণ ও মেরামত করা হবে।
You must be logged in to post a comment.