সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / অপরাধ ও আইন / মগনামা ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৩৭ জনকে আসামী করে মামলা : গ্রেপ্তার ২

মগনামা ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৩৭ জনকে আসামী করে মামলা : গ্রেপ্তার ২

পেকুয়ায় লবণ মাঠ দখল নিয়ে গুলি ও হামলায় সাবেক চেয়ারম্যানসহ আহত-১০ : উত্তেজনা

ফাইল ফটো

 

মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :

কক্সবাজারের পেকুয়ায় লবণ মাঠ দখল নিয়ে সশস্ত্র হামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো: ইউনুছ ও তার স্ত্রীসহ ১০জন আহতের ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করছে মগনামা থানায়। আরো বড় ধরনের সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকাবাসী।

গত শনিবার পেকুয়ার মগনামা ইউনিয়নের কালারপাড়ায় দফায় দফায় হামলা গুলি ও আহতের ঘটনায় গুরুতর আহত সাবেক চেয়ারম্যান ইউনুছের ভাই সরওয়ার কামাল চৌধুরী বাদি হয়ে মগনামা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিসহ ৩৭জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তন্মধ্যে এজাহারনামীয় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-মগনামার আনসার উদ্দিন ও জহির আলম।

স্থানীয় লোকজন জানান, মগনামার সাবেক চেয়ারম্যান মো.ইউনুছ একসময় যুবলীগের সাথে জড়িত থাকলেও গত ইউপি নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতিক নিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা ছিল। সর্বশেষ ৪টি অস্ত্রসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করে। দশ মাস কারাভোগের পর তিনি জামিনে বের হয়ে ঘরে ফেরার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই হামলা শিকার হন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, একটি বেসরকারী সংস্থার বিশাল জমির দখল নিয়েই ইউনুছের সাথে বর্তমান চেয়ারম্যান ওয়াসিমের বিরোধ শুরু হয়। ওই বিরোধের জের ধরে ইউনুছকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করানো হয় বলেও এলাকায় প্রচার রয়েছে। ইউনুছ জামিনে বের হয়ে ফের লবণ মাঠ দখল করার চেষ্টা করলেই ওয়াসিমের লোকজন পরিবার সদস্যসহ ইউনুছের উপর হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত ইউনুছ ও তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অপর আহত ৮জনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, শনিবার সকাল থেকে লবণ মাঠ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছাড়াও দুর্বৃত্তদের সশস্ত্র মহড়া চললেও পুলিশের ভুমিকা ছিল রহস্যময়। শুরুতে পুলিশ সক্রিয় হলে এই হামলা ঘটনা হতোনা বলে দাবি করেছেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপি।

সংঘর্ষের ঘটনার পর পর্যায়ক্রমে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ড.একেএম ইকবাল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম টুটুল, চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মো.মতিউল ইসলাম।

পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো.মঞ্জুরুল কাদের বলেন, অনাকাংখিত ঘটনা এড়াতে এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। এজাহারনামীয় দুইজনকে গ্রেপ্তার ও অন্যদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।

 

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

ঈদগাঁওর সংবাদকর্মী আবু হেনা সাগরের মাতা অসুস্থ : দোয়া কামনা 

  বার্তা পরিবেশক : কক্সবাজারে ঈদগাঁও উপজেলার সংবাদকর্মী এম আবুহেনা সাগরের মাতা অসুস্থ হয়ে চট্টগ্রামের ইবনে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/