বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া সরকারের মধ্যে পাঁচটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে দুই দেশের প্রতিনিধি দলের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এই সমঝোতা স্মারক সই হয়।
দুই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো।
বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে অগ্রাধিকার বাণিজ্য সুবিধা সংক্রান্ত চুক্তি, দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে নিয়মিত বৈঠক আয়োজনে সমঝোতা, মৎস্যসম্পদ আহরণ সংক্রান্ত বিষয়ে যৌথ সম্মতিপত্র, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) টার্মিনালে অবকাঠামো উন্নয়ন ও এ সংক্রান্ত বিষয়ে দু’টি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
এর আগে সকাল ৯টা ৪৯ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসে পৌঁছান ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের টাইগার গেটে জোকো উইদোদোকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠকে বসেন এশিয়ার দুই নেতা। একান্ত বৈঠক শেষে চামেলী হলে দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন তারা। পরে দুই নেতার উপস্থিতিতে করবী হলে চুক্তি সই হয়।
উল্লেখ্য তিন দিনের সফরে শনিবার বাংলাদেশে আসেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট। রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে তার সরকারি সফর শুরু করেন। গণভবনের নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উপস্থিত ছিলেন।
সফরের দ্বিতীয় দিন রবিবার সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। সেখান থেকেই সকাল ৯টা ৪৯ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছান ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট। আজ বিকালেই তিনি কক্সবাজারে যাবেন। সেখানে গিয়ে তিনি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের দুর্দশা দেখবেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলবেন। সফর শেষে সোমবার সকাল ৯টায় ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছেন জোকো উইদোদোর। সূত্র:deshebideshe.com;ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.