গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :
অবশেষে দীর্ঘ ৫ বছর পর শাহপরদ্বীপের হাজার হাজার জনতার মাঝে ভয়ে যাচ্ছে খুশি, আর আনন্দ। কারণ বেশ কয়েক বছর ধরে শাহপরদ্বীপের পশ্চিম পাড়া এলাকা বেড়ীবাঁধের বিশাল একটি অংশ বঙ্গোপসাগরের পানির তোড়ে সাগরে বিলিন হয়ে যায় শত শত বাড়ী ঘর, রাস্তাঘাট, ফসলি জমিসহ দেড় হাজার একর লবণের মাঠ। দীর্ঘ ৫ বছর যাবত দ্বীপের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ চলাচল করত নৌকা দিয়ে, বসবাস করত পানির সাথে যুদ্ধ করে। তাদের দুঃখ দুর্দশার চিত্র যখন তুলে ধরা হয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। তখন সারাবিশ্ববাসী চোখে পড়ে দ্বীপে বসবাসরত সাধারণ মানুষের চলাচলের চিত্র।
এদিকে এই ভাঙ্গা বেড়ীবাঁধটি পুর্ননির্মাণ করতে সরকার বেশ কয়েকবার লক্ষ লক্ষ টাকা বাজেট দেয় কিন্তু অসাধু ঠিকাদাররা সঠিক ভাবে কাজ না করে সেই টাকা গুলো লুটে নেয়।
অবশেষে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর সরকার এই ভাঙ্গা বেড়ীবাঁধ পুর্ননির্মাণ করার জন্য ১০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়।
এবং সেই কাজের সঠিক বাস্তবায়ন করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর সদস্যদের হাতে। সেই সূত্র ধরে নৌ-বাহিনীর সদস্যরা কাজের প্রথম সফলতা হিসাবে প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক একই সাথে নিয়োগ করে ভাঙ্গা বেড়ীবাঁধের সেই বিশাল অংশটি জোড়া লাগাতে সক্ষম হয়েছে। জানা যায় ২৮ জানুয়ারী সকাল থেকে বেশ কয়েক ঘন্টার মধ্যে শাহপরীরদ্বীপ পশ্চিম পাড়া এলাকার ভাঙ্গা বাঁধটি জোড়া লাগাতে সক্ষম হয়েছে বলে জানা যায়।
অপরদিকে সকাল থেকে সাবরাং ইউনিয়ন তথা শাহপরীরদ্বীপের হাজার হাজার জনতা ভাঙ্গা বেড়ীবাঁধের জোড়া লাগানোর দৃশ্যটি দেখার জন্য বিড় জমায়।
কারন দ্বীপবাসীদের দীর্ঘ কয়েক বছরের দুঃখ-দুর্দশার কি ভাবে অবসান হচ্ছে সেই চিত্রটি নিজ চোঁখে দেখার জন্য।
সুত্রে আরো জানা যায় সকাল ১১টার মধ্যে ভাঙ্গা অংশটি জোড়া লাগাতে সক্ষম হয়। ২৮ জানুয়ারী সন্ধা ৭টার দিকে খবর নিয়ে আরো জানা যায় উক্ত ভাঙ্গা স্পটে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্বাবধানে দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। এবং জোয়ার পানি ঢুকতে পারেনি। সকাল ৯টার দিকে
শাহপরীরদ্বীপ ভাঙ্গা বাঁধ জোড়া লাগানোর অংশটি পরিদর্শন করেন টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আহমদ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা শাহপরদ্বীপের স্থায়ী বাসিন্দা আলহাজ্ব সোনা আলীসহ দলবত নির্বিশেষে শত শত জনতা, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
এসময় শাহপরীরদ্বীপের হাজার হাজার জনতার মাঝে দেখা যায় খুশি ও আনন্দের জোয়ারে সবাই দিশে হারা। দীর্ঘ ৫ বছর পর তাদের দুঃখ, দুর্দশা মুছে দিয়ে বেড়ীবাঁধ ও সঠিক যোগাযোগ ব্যাবস্থা বাস্তবায়ন হওয়ার পর সেই বিশাল স্বপ্নটি পুরণ হতে যাচ্ছে।
You must be logged in to post a comment.