চকরিয়ার ৩’শ একর চিংড়ী ঘের দখলে রেখেছেন ড.ইউনুছ
মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও ওয়াকার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন (এমপি) বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে সামাজিক মর্যাদা, মানবিক ও সাম্যের সমাজ গঠনের যে ঘোষণাপত্র আমরা দিয়েছিলাম স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও সেই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন করতে পারিনি। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাওয়ার পথে ওইসময়েও দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেকার ভাতার প্রচলন রয়েছে। তাই বেকারদের অস্থায়ী বেকার ভাতা না দিয়ে তাদের স্বাবলম্বী করতে স্থায়ী সমাধান করার দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ থেকে ২২পরিবার মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন ২২ হাজারের পরিবারের সৃষ্টি হয়েছে, যারা দুর্নীতির মাধ্যমে লুটেপুটে খাচ্ছে। দেশকে বড় ধরনের দুর্নীতিমুক্ত করতে পারলে দেশের প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশে উন্নিত হবে।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার বিজয় মঞ্চে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টি কক্সবাজার জেলা শাখার আয়োজনে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্কাস পার্টি কক্সবাজার জেলার সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কমরেড হাজী বশিরুল আলম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, দেশ যখন উন্নয়নশীল দেশের দিকে অগ্রসর হচ্ছে ঠিক সেসময় আমাদের বেকার তরুণরা মাদকাসক্ত, সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে। তাই আমাদের এসব বেকার তরুণদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধবিরোধী ও নব্য রাজাকার জামাত-বিএনপিকে পরিহার করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন জোটকে আবারো ক্ষমতায় নিতে দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে। নচেৎ দেশে-বিদেশে শুরু হওয়া স্বাধীনতা বিরোধীদের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পড়ে দেশ যেমন পিছিয়ে পড়বে স্বাধীনতার ইতিহাসও ফের বিকৃত হয়ে যাবে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন-বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা দীপংকর সাহা দিপু, চট্টগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শরীফ সোবাহান, কেন্দ্রীয় যুব মৈত্রীর সহ-সভাপতি কাইছার আলম, ফারুক আহমেদ রুবেল, কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাঈনউদ্দিন হাসান শাহেদ, কক্সবাজার জেলা যুব মৈত্রীর সভাপতি মোহাম্মদ ওসমান গণি প্রমুখ।
তিনি আরো বলেন, আমরা মাত্র ১ লাখ এগার হাজার একর জমি ভুমিহীনদের দিতে পেরেছি। তাও প্রকৃত ভুমিহীনরা পেয়েছে কিনা প্রশ্ন রয়েছে। তাই দেশের লক্ষ লক্ষ একর জমি খাস যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত ভূমিহীনদের দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এমন কি চকরিয়াতেও হাজার হাজার একর জমি খাস পড়ে রয়েছে। এসব জমি কৃষকদের মাঝে লীজ দিতে হবে। লবণ চাষীদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। জাতিসংঘে আমরা বলে এসেছি আগামী ৩০ সালের মধ্যে দেশ থেকে দারিদ্র দূর করবো।
মন্ত্রী মেনন ড.ইউনুছকে উদ্দেশ্য করে বলেন, একটি বেসরকারী সংস্থা গঠন করে দারিদ্রমুক্তির কথা বলে তিনি নোবেল পুরস্কার পেলেও চকরিয়ার মৎস্যজীবিদের প্রাপ্যা তিন’শ একর চিংড়ী ঘের দখলে রেখেছেন।
এদিকে, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দুপুরে পেকুয়া ও সমাবেশ পরবর্তী চকরিয়ায় সামাজিত নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন সুবিধাভোগীদের মাঝে ভাতার অর্থ বিতরণ করেন। এছাড়া তিনি একটি বেসরকারী স্কুল পরিদর্শন করেছেন।
You must be logged in to post a comment.