সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / অপরাধ ও আইন / টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ১০ কোটি ২০ লক্ষ টাকার ইয়াবা উদ্ধার

টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ১০ কোটি ২০ লক্ষ টাকার ইয়াবা উদ্ধার

গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :

চলমান মাদক বিরোধী অভিযানের মধ্যেও মিয়ানমার থেকে আসছে বস্তাবন্দী ইয়াবা। প্রশাসনের ভয়ে যেখানে চিহ্নিত ইয়াবা কারবারীরা নিজের প্রাণ বাঁচাতে বন-জঙ্গলে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। সেই পরিস্থিতির মধ্যেও টেকনাফ সীমান্তে বৃহৎ আকারের পরিত্যক্ত ইয়াবার চালান উদ্ধারের ঘটনায় আবারো অত্র এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে নতুন করে অজানা আতংক। এখন কথা হচ্ছে হঠাৎ করে ইয়াবা পাচারে জড়িত এরা কারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা জানান অত্র এলাকার চিহ্নিত ইয়াবা কারবারীরা আড়ালে থেকে তাদের এই অপকর্ম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এর মধ্যে টেকনাফ নাজির পাড়া, মৌলভী পাড়াসহ নাফনদী সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি চিহ্নিত এলাকার মাদক কারবারীরা তাদের অপকর্ম চালু রাখার জন্য এখনো সক্রিয় রয়েছে।

তথ্য সুূত্রে জানা যায়, ১২ আগস্ট ভোররাত সাড়ে ৩ টার দিকে গোপন সংবাদ পেয়ে টেকনাফ ২ বিজিবি আওতাদ্বীন নাজির পাড়া বিওপির হাবিলদার মোঃ আশরাফুল আলমের নেতৃৃৃৃত্বে বিজিবি টহলদলের

সদস্যরা নাজির পাড়া আব্দুর রহমানের মালিকাদ্বীন প্রজেক্টে এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০ কোটি ২০ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ৩ লক্ষ ৪০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তবে এই ইয়াবা গুলোর সাথে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি বিজিবি। কারন বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি জানতে পেরে পাচারকারীরা কৌশলে পালিয়ে যায়।

এদিকে মাদক বিরোধী অভিযানে ইয়াবার চালান অনুপ্রবেশ তুলনামূলক ভাবে অনেকটা কমে আসলেও হঠাৎ করে ফের ইয়াবা পাচার বেড়ে যাওয়ায় সাধারন মানুষ ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিদের মাঝে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। অভিমত ও দুঃখ প্রকাশ করে তারা বলেন, মাদক বিরোধী চলমান অভিযানের মধ্যে ইয়াবা পাচার চালিয়ে যাচ্ছে এরা কারা? এই নিয়ে চলছে নানা মুখী সমালোচনা, অনেকেই সীমান্ত এলাকার আইন-শৃংখলা বাহিনীর কিছু অসাধু চক্র জড়িত আছে বলে মত প্রকাশ করছেন।

৩ লক্ষ, ৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আছাদুদ-জামান বলেন মাদক পাচার প্রতিরোধে আমাদের সদস্যরা সদা প্রস্তুত রয়েছে। সেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসাবে প্রচুর পরিমাণ মাদক উদ্ধার ও কারবারীদের আটক করতে আমরা সক্ষম হচ্ছি। তবে এই অভিযান স্থলে পানি এবং কাদা-মাটি বেশী থাকার কারনে পাচারকারীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। তিনি আরো বলেন চলমান মাদক বিরোধী অভিযানের মধ্যেও যে সমস্ত কারবারীরা এখনো তাদের অপকর্ম অব্যাহত রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা তথ্য অনুসন্ধান করে তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। এবং খুব শীঘ্রই ইয়াবা পাচারে জড়িত মূলহোতাদের আইনের আওতাই নিয়ে আসা হবে।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

লামায় দিনেদুপুরে কৃষকের বাড়িতে হামলা লুটপাট

  মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; বান্দরবান :ভূমি বিরোধের জের ধরে লামায় মোঃ ইব্রাহিম (৫৫) নামে কৃষকের ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/