এম আবুহেনা সাগর; ঈদগাঁও :
‘আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে/তব অবগুণ্ঠিত কুণ্ঠিত জীবনে/কোরো না বিড়ম্বিত তারে-’ এভাবেই ঋতুরাজ বসন্তের বন্দনা করেন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। গাছের শাখার শাখায় রঙিন ফুলের পসরা সাজিয়ে, ঝরিয়ে দিয়ে মলিন পাতার রাশি, বুধবার ছিল পহেলা ফাল্গুন, বসন্তের প্রথম দিন।
ছয় ঋতুর বাংলায় বসন্তের রাজত্বে প্রকৃতি সিদ্ধ হবে। ঋতুরাজ বসন্তের বর্ণনা কোনো রং-তুলির আঁচড়ে শেষ হওয়া নয়। তবুও বসন্ত বন্দনায় প্রকৃতি প্রেমীদের চেষ্টার শেষ নেই। গাছগাছালি তে ফুল ফুটুক আর নাই-বা ফুটুক, বসন্ত তার নিজস্ব রূপ মেলে ধরবেই। ফাগুনের আগুনে, মন রাঙিয়ে বাঙালি তার দীপ্ত চেতনায় উজ্জী বিত হবে।
বসন্তকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় উঠেছে। মুঠোফোনে ক্ষুদেবার্তা বা ম্যাসেঞ্জারে প্রেরণ করছে আপনজনদেরকে বসন্তের ফুলেল শুভেচ্ছা। এমন চিত্র চোখে পড়ে জেলা সদরের বৃহত্তর ঈদগাঁওর তরুণ প্রজন্ম দের মাঝে। নেই বড় পরিসরে কোন আয়োজন।
কালের পরিক্রমায় বসন্ত বরণ বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম উৎসব। আবাল-বৃদ্ধা, তরুণ-তরুণী বসন্ত উন্মাদনায় মেতে উঠে। শীত চলে যায় রিক্ত হস্তে, আর বসন্ত আসে ফুলের ডালা সাজিয়ে। বাসন্তী ফুলের পরশ আর সৌরভে কেটে যাবে শীতের জরাজীর্ণ। বসন্ত যেন মানব মন আর প্রকৃতির রূপ প্রকাশের লীলা-খেলা। বসন্ত উৎসব কেবল গ্রামীণ আয়োজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। ফুলে ফুলে ভরে যায় তরুণীর চুলের খোঁপা। বসন্তের এই আগমনে প্রকৃতির সঙ্গে তরুণ হৃদয়েও দোলা দেয়। যে যে বয়সেই থাকুক না কেন বসন্ত উৎসব হচ্ছে তারুণ্যের উৎসব। বসন্তের আগমনে নবোদ্যমে জেগে উঠুক বাঙালি, জেগে উঠুক বাঙালির প্রাণ।
You must be logged in to post a comment.