হামিদুল হক; ঈদগড় :
পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলার বাইশারীর গহীন পাহাড়ি এলাকা থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা যায়, গত শনিবার ১৬ এপ্রিল ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল নিয়ে ঈদগড় ইউনিয়ন চরপাড়া গ্রামের ইসাক মিয়ার তৃতীয় পুত্র শহীদুল্লাহ (২২) বাইশারী ইউনিয়ন এর ২ নম্বর ওয়ার্ডের ঈদগড় বাজার সমিতি বাগান নামে এলাকায় কে বা কার, ডাকে ভাড়ায় যায়, ঐ দিন থেকে শহীদুল্লাহর খোঁজ-খবর নেই। পারিবারিক ভাবে আত্মীয়-স্বজনরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর কোন সন্ধান না পেয়ে অবশেষে গত ১৮ এপ্রিল রামু থানায় একটি ডায়েরি করা হয়।
১৯ ফেব্রুয়ারি আবারো আত্মীয়-স্বজনেরা খোঁজাখুঁজির জন্য বের হলে উল্লিখিত বাজার সমিতির রাবার বাগান নামে পরিচিত পাহাড়ের পাদদেশে প্রথমে নিহত শহীদের চালিত মোটরবাইকটি শনাক্ত করতে পারে।পরে আরও খোঁজখবর নিয়ে খোঁজাখুঁজি করলে অবশেষে ঐ বনাঞ্চলের গভীর খাদে শহীদুল্লাহর লাশ দেখতে পায়।
বিষয়টি আত্মীয়-স্বজনরা সীমান্ত এরিয়া হওয়ায় নাইক্ষ্যংছড়ি থানা ও রামু থানায় খবর দেয়া হয়। সংবাদ পেয়ে রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন।
সূত্রে জানা যায়, নিহত শহিদুল্লাহ একজন বিবাহিত যুবক ছিলেন, এরপরও বেশ কয়েকজন নারীর সাথে তার অনৈতিক সম্পর্ক ছিল বলে এলাকার বেশ কয়েকজন ব্যক্তির কাছ থেকে জানা যায়।
তারই সূত্র ধরে পুলিশ ঈদগড় ইউনিয়ন এর ৫ নং ওয়ার্ডের বড়বিল এলাকার রশিদ আহমদ এর মেয়ে রোজিনা আক্তারকে ঈদগড় মেডিকেল সেন্টারে নার্সের দায়িত্ব পালনকালে ১৯ এপ্রিল বিকালে জিজ্ঞাসাবাদের নিয়ে যায়।
৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রুবেলের সাথে এই প্রতিনিধির আলাপ হলে, গত কয়েকদিন আগে আটককৃত রোজিনার সাথে নিহত শহীদুল্লাহর কথা কাটাকাটি সহ এক পর্যায়ে শহীদুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে রোজিনা হুমকি দেওয়ার বিষয়টি তিনি জেনেছেন বলে জানান। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে শহীদুল্লাহ নিহতের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করার জন্য এলাকাবাসীর জোর দাবি জানান।
You must be logged in to post a comment.