Home / প্রচ্ছদ / অপরাধ ও আইন / মুক্তিপণ আদায়ে কক্সবাজার ডিবি পুলিশের ৭ সদস্যকে ১২ বছর করে কারাদণ্ড

মুক্তিপণ আদায়ে কক্সবাজার ডিবি পুলিশের ৭ সদস্যকে ১২ বছর করে কারাদণ্ড

কামাল শিশির; রামু :

ক্সবাজারে ব্যবসায়ী আবদুল গফুরকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বহিষ্কৃত সাত সদস্যের ১২ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।

২০ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার জেলা দায়রা ও জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর জানান, অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বিচারক এ রায় ঘোষণা করেছেন।

বিচারক ৩৬৫ ধারায় ৫ বছর এবং ৩৮৬ ধারায় সাত বছর কারাদণ্ড দেন। উভয় সাজা তাদের একসঙ্গে ভোগ করতে হবে। ফলে সাজা ১২ বছর বলে গণ্য হবে। রায় ঘোষণাকালে সাত আসামিই এজলাসে উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলম জানান, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর কক্সবাজার শহরের থানার পেছনের রোড থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাকধারী ব্যক্তিরা টেকনাফের ব্যবসায়ী আবদুল গফুরকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। পরে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে স্বজনদের কাছে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। দেনদরবারের পর ১৭ লাখ টাকা দিতে রাজি হয় পরিবার। টাকা পৌঁছে দেয়া হলে পরদিন ভোরে আবদুল গফুরকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুরে ছেড়ে দেয়া হয়। বিষয়টি গফুরের স্বজনেরা সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা চৌকির কর্মকর্তাদের জানান।

মেরিন ড্রাইভ সড়কে মাইক্রোবাস ডিবি পুলিশের সদস্যদের চৌকির সেনা সদস্যরা তল্লাশি করে তাতে ১৭ লাখ টাকা পান। এ সময় উপ-পরিদর্শক মনিরুজ্জামান দৌঁড়ে পালিয়ে গেলেও বাকি ছয়জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেন সেনা সদস্যরা।

আইনজীবী ফরিদুল আলম জানান, এ ঘটনায় ব্যবসায়ী আবদুল গফুর বাদী হয়ে ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মনিরুজ্জামান ও আবুল কালাম আজাদ, এএসআই ফিরোজ, গোলাম মোস্তফা ও আলা উদ্দিন এবং কনস্টেবল আল আমিন ও মোস্তফা আজমকে আসামি করে টেকনাফ থানায় মামলা করেন।

২০১৮ সালের আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ডিবির সাত জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

গত ৫ সেপ্টেম্বর মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে জামিনে থাকা ডিবি পুলিশের সাত সদস্যের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠান বিচারক। ২০ সেপ্টেম্বর মামলার রায়ের জন্য সময় নির্ধারণ করেন।

তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে রায় ঘোষণার সময় মামলার বাদী আবদুল গফুর উপস্থিত ছিলেন না। তবে তার বড় ভাই টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2018/10/Tharmameter.jpg

দেশে আরও ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

  অনলাইন ডেস্ক :দেশজুড়ে বইছে তাপপ্রবাহ। গরমে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা। এ অবস্থায় দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ অব্যাহত ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/