সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / সাম্প্রতিক... / অবশেষে বাঘগুজারা মাটির বাঁধ কেটে দেয়ায় দু:খের মাঝেও আনন্দিত হাজারো কৃষক

অবশেষে বাঘগুজারা মাটির বাঁধ কেটে দেয়ায় দু:খের মাঝেও আনন্দিত হাজারো কৃষক

মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :

কক্সবাজারের চকরিয়ায় টানা বর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি ভাটির দিকে নামতে পারছিলনা বাঁধে আটকা পড়ে। বাঘগুজারা রাবার ড্যাম মেরামত করতে নির্মাণ করা মাটির তৈরী বাঁধের কারণে মাতামুহুরী নদীর পাশাপাশি কয়েকটি ছড়াখালের পানিও আটকে যায়। এতে পানির নিচে তলিয়ে যায় বিপুল বোরো ধান। ক্ষতির মুখে পড়া কৃষকরা কৃষি অধিদপ্তর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কর্তাদের কাছে ধর্ণা দিয়েও সাড়া পায়নি।

অবশেষে হারবাং এর কৃষক খালেদ হোসেন পিটুর একটি মুঠোফোনে সাড়া দিয়ে মানবতার নজির স্থাপন করলেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন। তাঁর নির্দেশে মঙ্গলবার বাঘগুজারা রাবার ড্যাম মেরামতে সহায়ক মাটির তৈরী বাঁধ কেটে দেয়া হয়েছে।

টানা ছয়দিন পানির নিচে থাকা ধান পঁচে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হলেও হারবাং এলাকার কৃষকরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তাদের ডাকে জেলা প্রশাসক সাড়া দেয়ায়।

কৃষক খালেদ হোসেন পিটু বলেন, আমি হারবাং বড় বিলে ১২ একর জমিতে বোরো চাষ করি। অব্যাহত বর্ষণে হারবাং খালের পানি আটকে ঢলে পরিণত হয়। ওই পানিতে তলিয়ে যায় আমার ১২ একরসহ হাজারো কৃষকের ৭’শ একর জমির বোরো ফসল। বাঘগুজারা ড্যামের মাটির বাঁধের কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়। বাঁধটি কেটে দিতে আমি নিজেই উপজেলা ও জেলা কৃষি কর্মকর্তা ছাড়াও পানি উন্নয়ন বোর্ডের দপ্তরে ধর্ণা দিয়ে আকুতি-মিনতি করি। কিন্তু কেউই আমার কথায় কর্ণপাত করেনি।

পিটু আরো বলেন, কোন উপায়ন্তর না দেখে সোমবার বিকাল ৫টার দিকে মোবাইলে জেলা প্রশাসক মো.আলী হোসেনের নাম্বারে কল দিই। তিনি ব্যস্ত থাকায় ওই সময় রিসিভ না করলেও অল্পক্ষণ পর জেলা প্রশাসক নিজেই আমাকে কল করে বিষয় জানতে চান। এসময় আমি বিস্তারিত জানাই তাকে।

কৃষকের আর্তনাদ শোনা মাত্রই জেলা প্রশাসক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বাঁধ কেটে দিতে নির্দেশ দেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার রাত থেকে বাঁধ কাটার উদ্যোগ নেয়া হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে বাঁধ কাটা শুরু হয় পুরোদমে। দুপুরের পর থেকে আটকে পড়া পানি ভাটির দিকে নামতে শুরু করে।

 বাঁধ কাটা নিয়ে কৃষক পিটু বলেন, পানিতে আমার ১০ লাখ টাকার ধান নষ্ট হলেও এখন আর দু:খ নেই। ডিসি স্যারজে আমার মতো কৃষকের কথা গুরুত্ব  দিয়ে শুনে তাৎক্ষণিক সমস্যার সমাধান দিয়েছেন তাতেই আমার মন ভরে গেছে। যেখানে কৃষি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অফিসাররা কথায় শোনতে চাননি সেখানে একজল জেলা প্রশাসকের মহর্ত্ব কৃষকদের মাঝে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

ঈদগাঁওর সংবাদকর্মী আবু হেনা সাগরের মাতা অসুস্থ : দোয়া কামনা 

  বার্তা পরিবেশক : কক্সবাজারে ঈদগাঁও উপজেলার সংবাদকর্মী এম আবুহেনা সাগরের মাতা অসুস্থ হয়ে চট্টগ্রামের ইবনে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/