সরকার ঘোষিত পর্যটন বর্ষ ২০১৬ সালকে বরণে পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারে ৩ দিনের মেগা বীচ কার্নিভাল উদ্বোধন হচ্ছে আজ ২০১৫ সালের শেষ দিনে। পর্যটন মন্ত্রণালয় জেলা প্রশাসন, ট্যুরিজম বোর্ড এবং বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি ৩ দিনের মেগা কার্নিভাল সফলভাবে বাস্তবায়নে বেশ কয়েকদিন জোরেশোরে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
৩১ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১ টায় বীচে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে কার্নিভালের উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির শংকায় রাতের সকল কর্মসূচি বাতিল করে বিকেল ৫ টার মধ্যে সম্পন্ন করতে প্রস্তুতি নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। ইংরেজি বর্ষ বরণ, ২০১৫ সালকে বিদায় ও পর্যটন বর্ষকে স্বাগত জানাতে বীচ কার্নিভাল উপলক্ষ্যে পর্যটন রাজধানী কক্সবাজার এখন টইটুম্বর।
১৬ ডিসেম্বর থেকে কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান সমূহে পর্যটকে ভরপুর হলে উঠেছে। বাংলাদেশের অমিত সম্ভাবনাময়ী পর্যটন খাতকে বিশ্বের দরবারে পরিচয় করিয়ে দিতে এবং পর্যটক আকর্ষণে সরকার ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ ঘোষণা করে। ৩ দিনের মেগা বীচ কার্নিভালে কক্সবাজারকে প্রমোট করতে থাকছে নানা আকর্ষণীয় অনুষ্ঠানমালা। এর মধ্যে রয়েছে দেশের সেরা শিল্পীদের গান-কনসার্ট, নৃত্য পরিবেশনা, ঘুড়ি উৎসব, প্রদর্শনী, বিচ ক্রিকেট, সার্ফিং, ফুটবল, বালু ভাস্কর্য, প্রদর্শনী, আলোক চিত্র প্রদর্শনীসহ ৬৯টি ইভেন্ট। বীচ কার্নিভালে অংশগ্রহণ করার লক্ষ্যে ৩০ ডিসেম্বর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী কক্সবাজারে পৌঁছেছেন।
প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকার ৩ দিনের মেগা বীচ কার্নিভাল উপলক্ষ্যে হোটেল মোটেল সমূহের ঝিমিয়ে পড়া পর্যটন ব্যবসায় প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। যারা ঋণে নিঃসহ হতে বসেছে তাদের জন্য এ মওসুম যেন প্রাণে পানি পাওয়ার মত। ৩ দিনের বীচ কার্নিভাল উপলক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করেছে। যেহেতু আইন শৃঙ্খলা অবনতি এমনকি জঙ্গি হামলার আশংকা রয়েছে সে কারণে পর্যটকদের নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠান উপভোগের জন্য প্রশাসন অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে আজ বছরের শেষ দিনে অর্থাৎ মেগা কনসার্টের প্রথম দিনে সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে র্যালী বের হয়ে লাবণী পয়েন্টে শেষ হবে। র্যালীতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২ সহস্রাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা নিয়ে র্যালিতে অংশ নিচ্ছে বলে জানা গেছে। প্রথম দিনের অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে ১১ টায় উদ্বোধন। পরে ফুটবল, ক্রিকেট ভলিবল খেলা, বালু ভাস্কর্য পরিদর্শন। মহিলা ও পুরুষদের ঘুড়ি উড়ানো, প্যারাসেলিং ফানুস উড়ানো, জর্বিং, ব্যান্ড সংগীত, মাকসুদের পরিবেশনায় আর্কষণীয় ব্যান্ড সংগীত এবং বিখ্যাত বাউল শিল্পী কিরণ চন্দ্র রায় ও চন্দনা মজুমদারের পরিবেশনায় সংগীত অনুষ্ঠান।
আজকের প্রধান আকর্ষণ হিসাবে থাকছে নগর বাউল জেমসের পরিবেশনায় ব্যান্ড শো। এছাড়া বছরের প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে দেশসেরা শিল্পীদের পরিবেশনায় নানা সংগীতানুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচি।
You must be logged in to post a comment.