ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হওয়ায় শিগগিরই এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
রোববার সকালে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। শিগগিরই এটি খুলে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব আমরা।’ তবে রুদ্ধদ্বার সেই বৈঠক সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।
বৈঠকে ফেসবুকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ল’ এনফোর্সমেন্ট স্পেশালিস্ট বিক্রম লাংঘে এবং পাবলিক পলিসি ম্যানেজার দিপালি লিবারহান। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। এছাড়া সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সকাল সাড়ে ১০টায় এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক চলে প্রায় দুই ঘণ্টা।
এর আগে ৩০ নভেম্বর ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহ জানিয়ে মেইল করেন। এর একদিন পরেই ফেসবুকের সাড়া দেওয়ার প্রেক্ষিতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।
১৮ নভেম্বর নিরাপত্তা নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে ফেইসবুকসহ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দেয় সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, সময় হলেও খুলে দেওয়া হবে ফেসবুক। তবে শুরু থেকেই দ্রুত ফেসবুক খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন ফেসবুকভিত্তিক ব্যবসায়ী ও সাধারন ব্যবহারকারীরা।
শনিবারও ব্যবসায়ীরা মানববন্ধন করেছেন। তারা জানান, বাংলাদেশে অনেকেই ই-কমার্স ব্যবসার দিকে ঝুঁকেছেন। বিশেষ করে অনেক তরুণ নিজ উদ্যোগে ব্যবসায় নেমেছেন। চাকরি না খুঁজে নিজেই নিজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। পাশাপাশি কেউ কেউ বেকারদের চাকরিও দিয়েছেন। তরুণ এই ব্যবসায়ীরা ব্যবসার জন্য ফেসবুককে বেছে নিয়েছেন। ফেসবুকের মাধ্যমে নিজেদের পণ্যের প্রচারণা চালান তারা। এর মাধ্যমে তারা সহজেই পণ্যের ফরমায়েশ পান ও পণ্য সরবরাহ করতে পারেন। কিন্তু ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়ায় তাদের এই ব্যবসায় ভাটা পড়েছে। হঠাত্ করে সরকারের এই সিদ্ধান্তে তারা অবাক হয়েছেন।
– প্রিয়ডটকম,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.